বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পরে যখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে আইনে পরিনত হয় ঠিক তখনই ঝামেলা বাঁধে রাজ্য জুড়ে। এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের এই আভ্যন্তরীন ইস্যু স্থান পেয়েছিল। আমেরিকা থেকে ব্রিটেন এই নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সায় দিয়েছিল।
কিন্তু সেই তুলনায় পাকিস্তান ভারতের এই আইন নিয়ে ব্যাপক বিরোধিতা করেছিল। যদিও ভারতও পাকিস্তানকে কম কিছু বলেনি। এই আইনের মাধ্যমে যেহেতু পাকিস্তান , আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয় তাই পাকিস্তানের বরাবরই না পসন্দ ছিল এই আইন। যদিও তাতে কিছুই এসে যায় নি ভারতের। উল্টে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছিল ভারত। তবে এবার সেই পাকিস্তানের নিয়েই এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল রাষ্ট্রংসঘ।
৪৭ পাতার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে পাকিস্তানের সবথেকে নিপীরিত সম্পর্দায় হল হিন্দু। যেখানে হিন্দু মহিলারা বিশেষ করে অত্যাচারিত হচ্ছেন। প্রতিদিনই খুন, ধর্ষণের মতো একাধিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তাই এবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পাকিস্তান। অর্থাত্ দেশবাসীর কাছে মোদী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় ইমরান খান খুশি হলেও সেই খুশির ফল যে খুব একটা ভালো হল না তা একেবারেই নিশ্চিত।
অন্যদিকে, সুইজ্যারল্যান্ডের জেনিভায় আয়োজিত ‘গ্লোবাল ফোরাম অফ রিফিউজি” তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, বর্তমানে ভারতে একটি নাগরিকতা আইন লাগু করা হয়েছে। যার কারণে লক্ষ লক্ষ মুসলিমদের ভারত থেকে তাড়ানো হবে, এর কারণে একটি শরর্ণার্থী সঙ্কট সৃষ্টি হবে, যার সামনে গোটা দুনিয়ার সমস্যা ছোট হয়ে যাবে।
উনি বলেন, এই শরণার্থী সমস্যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু সম্পন্ন দেশের মধ্যে সমস্যা তৈরি হবে। এই ইস্যু নিয়ে অন্যান্য দেশের কাছে আবেদন করে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান বিবাদিত কাশ্মীরে ভারত দ্বারা জারি করা কারফিউর জন্য ভারত থেকে যাওয়া মুসলিমদের পাকিস্তানে জায়গা দেবেনা।