বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝে আজ লোকসভা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (Citizenship Amendment Bill) পেশ করলেন। উনি বিল পেশ করা মাত্রই সংসদে হাঙ্গামা শুরু হয়ে। কংগ্রেস সমেত সমস্ত বিরোধী দল এই বিলের বিরোধিতা শুরু করে। লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নিশানা বানানো হচ্ছে। অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যের পর অমিত শাহ বলেন এই বিল দেশের ০.১ শতাংশ সংখ্যালঘু বিরোধী না। দয়া করে সদন থেকে ওয়াকআউট করবেন না।
CAB not even .001% against minorities in the country, says Amit Shah as he introduced it in Lok Sabha
Read @ANI story | https://t.co/FsjEK6lQDE pic.twitter.com/b2A7kFewfN
— ANI Digital (@ani_digital) December 9, 2019
অমিত শাহ বলেন, আমি এই বিল নিয়ে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। এই বিলে কোথাও মুসলিম লেখা নেই। আমার বয়ানের পর বিরোধীদেরও বলার সুযোগ দেওয়া হবে। সমস্ত ইস্যু নিয়ে চর্চা হবে। তথ্য গুলোকে বিকৃত করে সদনকে ধোঁয়াশায় ফেলবেন না দয়া করে।
এরপর বিল নিয়ে চর্চা হওয়ার সময় অমিত শাহ বলেন, আমি গোটা দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই বিল সংবিধানের কোন ধারাকে লঙ্ঘন করবে না। সংবিধানের ১৪ ধারার উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, এই ধারা আইন বানানোর জন্য কাউকে বাধা দেয়না। এটাই প্রথমবার নাগরিকতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছেনা। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কংগ্রেস সাশনে উগান্ডা থেকে আসা মানুষদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
Union Home Minister Amit Shah in Lok Sabha on #CitizenshipAmendmentBill: Why do we need this Bill today? After independence, if Congress had not done partition on the basis on religion,then,today we would have not needed this Bill. Congress did partition on the basis of religion. pic.twitter.com/gYsfbdl8U1
— ANI (@ANI) December 9, 2019
সংসদে হাঙ্গামা হওয়ার পর অমিত শাহ বলেন, পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচিত করা হয়েছে, আমাদের শুনতেই হবে। উনি বলেন, ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ ইসলাম প্রধান দেশ। আফগানিস্তানের সংবিধানে বলা আছে যে ওই দেশ ইসলামিক দেশ। সংবিধান অনুযায়ী পাকিস্তানেরও রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম।
তিনটি দেশেই সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়। ধার্মিক প্রতারণা হয়। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করেছিল। যদি দেশ ভাগ না হত, তাহলে এই বিলের কোন দরকারই ছিলনা। কংগ্রেস আমাদের বাধ্য করেছে। যদি কোন মুসলিম আমাদের আইন অনুযায়ী আবেদন করে, তাহলে তাঁর কথা শোনা হবে। যেহেতু তাঁদের সাথে ধার্মিক প্রতারণা হয়নি, সেহেতু এই বিল আনা হয়েছে। আর এই বিলে ছয়টি ধর্ম হিন্দু, বৌদ্ধ, ইসাই, জৈন, শিখ আর পারসিদের নাগরিকতা দেওয়ার আইন আছে।