বাংলাহান্ট ডেস্ক : ব্রিটিশরা এদেশে আসার পর ভারতের রাজধানী হিসেবে কলকাতাকে (Kolkata) সাজিয়ে তুলতে চেয়েছিল। বর্তমানে ভারতের রাজধানী কলকাতা না হলেও, শহরটির ঐতিহ্য কিন্তু কম নয়। ভারতের প্রথম আধুনিক শহর হল কলকাতা। কলকাতার অগণিত গলিপথ, উপপথ থেকে শুরু করে সেখানকার ইতিহাস, ঘরবাড়ি, ঐতিহাসিক স্থাপত্যের কারণে আজও কলকাতা গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষ বহন করে।
এই শহরের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, সেখানকার নামগুলি সেই প্রাচীনকাল থেকে আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। ১৭৫৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া এবং বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার মধ্যে একটি যুদ্ধের কারণে সমগ্র কলকাতা অবরোধ ছিল। ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে কলকাতা শহরকে পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন নবাব। পরবর্তীকালে শহরটির নাম আলিনগর রাখেন সিরাজউদ্দৌলা নিজেই।
আরোও পড়ুন : বিশ্বের ১৯ তম ধনী গৌতম আদানি! কত বেতন পান? আম্বানীর থেকে বেশি নাকি কম?
এরপর ব্রিটিশদের আক্রমণের প্রতি আক্রমণ করার জন্য সুতানুটির একটি উন্মুক্ত এলাকায় হাতি জমাতে শুরু করেন সিরাজ ও তার বিশ্বস্ত উপদেষ্টা মীর জাফর। সেই থেকেই ওই এলাকাটির নাম হয়ে যায় হাতিবাগান। জানেন কি, উল্টাডাঙ্গার নাম কেনো এমন। আসলে এই শব্দটি উল্টা ডিঙ্গির একটি ভ্রষ্ট শব্দ। জানা যায়, একটি নৌকা বা ডিঙ্গি উল্টে গিয়েছিল পার্শ্ববর্তী খাঁড়িতে।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত খবর! কর্মী নিয়োগ শুরু দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনে, দেখুন কোন কোন পদে আবেদন করবেন
এর কোন লিখিত রেকর্ড না থাকলেও দুর্ঘটনাটি ছিল উল্লেখযোগ্য। তাইতো ওই স্থানের নাম হয় উল্টাডাঙ্গা। ১৮ শতকের গোড়ার দিকে ক্যাপ্টেন চার্লস পেরিন নামক এক ধনী ব্যবসায়ী হুগলির পূর্ব তীরে একটি বাগান বাড়ি কিনেন। ১৭৫২ সালে পেরিনের মৃত্যুর পর ওই জায়গাটি কিনে নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এরপর ওই জায়গায় একটি গানপাউডার কারখানা এবং একটি মানমন্দির নির্মাণ করা যায়।
জায়গাটির নাম দেওয়া হয় পেরিনস রিডআউট। এই মান মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল, ব্রিটিশদের আক্রমণ করার জন্য উত্তর দিক থেকে আশা আক্রমণকারীদের নজরে রাখা। ১৯৪৮ সাল নাগাদ পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পতন ঘটে। ধীরে ধীরে ওই বাতিঘর স্মৃতিতে বিবর্ণ হয়ে যায়। সেই সময় ওই বাগান বাড়িতে ঘিরে একটি বাজার গড়ে ওঠে। তাইতো এলাকাটির নাম আজও বাগবাজার।