জল্পনা হল সত্যি! বীরভূমে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অনুব্রতর ডেপুটি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনুব্রতর (Anubrata Mandal) এলাকায় শুভেন্দুর দাপট! দল ছাড়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব ওঝা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নলহাটিতে বিজেপির সভায় বিপ্লববাবুর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপর গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন বিপ্লব ওঝা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলার তৃণমূল মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এবার তো বোঝা যাচ্ছে বিপ্লব ওঝা ইচ্ছে করেই নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। কোনও কাজ করেননি।’

এত দিন এলাকায় অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বিপ্লব ওঝা। কিন্তু বিধানসভা ভোটে টিকিট না পাওয়ায় দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তাঁর। গত দেড়-দু’বছর ধরে একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন বিপ্লব ওঝা। কিন্তু টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁকে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে তাঁকে বসানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই কথাও রাখেনি দল। এরপরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল শিবির ছাড়েন বিপ্লববাবু।

bipolar

তৃণমূলে ছাড়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি এবার পদ্ম শিবিরে বিপ্লব ওঝা? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘এলাকার মানুষ চাইলে আমি যে কোনও সর্বভারতীয় দক্ষিণপন্থী দলে যোগ দিতে পারি। সেটা বিজেপি হতে পারে আবার কংগ্রেসও হতে পারে।’ কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি।

আগে বীরভূম জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর ২০০৯ সালে বীরভূম লোকসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ পদে শতাব্দী রায় জেতার পরেই সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূল যোগ দেন বিপ্লব ওঝা। সেই প্রথম নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর বিপ্লব তৃণমূলের সম্পর্ক চুকিয়ে চলে গেলেন বিজেপিতে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর