বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) আর চীনের (China) মধ্যে চলা বিবাদ আগের থেকে অনেক কমেছে। যদিও, কোন সঙ্কটের পরিস্থিতি এড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর ভারতীয় সেনা (India Army) সমস্ত রকমের চ্যালেঞ্জের সন্মুখিন হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। একদিকে যখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের তরফ থেকে সৈন্য উপকরণ কেনার জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে, তখন ভারতীয় সেনার প্রতিটি বিভাগই যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিস্থিতির সন্মুখিন হওয়ার জন্য যুদ্ধঅভ্যাস করছে।
#WATCH Trials of Helicopter-launched Nag Missile (HELINA), now named Dhruvastra anti-tank guided missile in direct and top attack mode. The flight trials were conducted on 15&16 July at ITR Balasore (Odisha). This is done without helicopter. pic.twitter.com/Jvj6geAGLY
— ANI (@ANI) July 22, 2020
আর সেই ক্রমেই হেলিকপ্টার থেকে লঞ্চ হওয়া নাগ মিসাইল হেলিনা-এর (Helicopter-launched Nag Missile (HELINA) পরীক্ষণ করল ভারত। যদিও এই মিসাইল হেলিকপ্টার ছাড়াই লঞ্চ করা হয়। শোনা যাচ্ছে যে, এবার এই মিসাইলের নাম হেলিনা থেকে বদলে ধ্রুবাস্ত্র অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল (Dhruvastra anti-tank guided missile) রাখা হয়েছে। এর ফ্লাইট ট্রায়াল ১৫ থেকে ১৬ জুলাই বালাসোর থেকে করা হয়।
এর আগে জয়সলমের-এ অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল ‘নাগ” এর অ্যাডভান্স ভার্সনের ট্রায়াল করা হয়। রাত আর সকালে করা এই মিসাইলের সমস্ত পরীক্ষণ একদম সঠিক ছিল। ডিআরডিও এর তরফ থেকে বিকশিত আর ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেডের তরফ থেকে নির্মিত নাগ মিসাইল সেনাবাহিনী নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করেছে।
- ৫০০ মিটার থেকে ৫ কিমি পর্যন্ত মারক ক্ষমতার এই মিসাইল একসাথে আট কেজি ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
- ৪২ কেজি ওজনের এই নাগ মিসাইল ১.৯০ মিটার দীর্ঘ।
- এই মিসাইল ২৩০ মিটার প্রতি সেকেন্ডের গতিতে নিজের লক্ষ্যে আঘাত হানে।
- আকাশ পথ থেকে ট্যাংকের উপরেও সঠিক হামলা করতে সক্ষম এই মিসাইল।
- নাগ মিসাইলের বিশেষত হল, ওড়ার সময় অপরেটারের কাছে নির্ধারিত এলাকার সমস্ত ছবি পাঠাতে পারে।
- এরফলে অপরেটর ওই এলাকায় থাকা সমস্ত লক্ষ্য গুলোকে চিহ্নিত করে মিসাইলের মাধ্যমে ধ্বংস করতে পারে।
- নাগ মিসাইল যেকোন ট্যাংককে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
রণক্ষেত্রে শত্রু পক্ষের ট্যাংককে খুঁজে সেটিকে ধ্বংস করার জন্য নাগ মিসাইল লঞ্চ করা হয়। আর এই কারণেই এই মিসাইলের রেঞ্জ খুব একটা বেশি রাখা হয় না। ট্যাংকের উপরের দিকের অংশ অন্যান্য অংশের থেকে কমজোর হয়। আর এই কারণে এই মিসাইল ট্যাংকের উপরের দিকে হামলা করে ছেদ দিয়ে ট্যাংকের মধ্যে ঢুকে গিয়ে সেই ট্যাংকে ধ্বংস করে দেয়।