বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এর আগেও কাটমানি নিয়ে বারবার অস্বস্তিতে পরতে হয়েছে তৃণমূলকে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে থেকে হুঁশিয়ারি দিতে হয়েছে নিচু তলার কর্মীদের। কিন্তু তারপরেও বিরোধীদের মুখে বারবার ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে কাটমানি। নির্বাচনী প্রচারে বারবার তৃনমুলকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীও। ভোট মিটেছে ঠিকই, একাধিক সংগঠনিক রদবদলও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাটমানির অভিযোগ পিছু ছাড়ছে না। ফের একবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির কলিগ্রামের বাসিন্দারা।
তাদের অভিযোগ, এলাকার বিদ্যুৎ সংঘ ক্লাবকে চার লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল রাজ্য যুব কল্যান দপ্তর তরফ থেকে। তার থেকে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীনবন্ধু ঘোষ। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের চাপ বাড়ায় টাকা নিতে পারেননি তিনি। তবে স্থানীয়দের দাবি ক্লাবের ব্যাঙ্কের বই ও রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে চলে গেছেন ওই নেতা। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় ক্লাবের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে লেখা চিঠিতে তারা জানান, এই তৃণমূল নেতার দুর্নীতি ও অত্যাচারের জেরেই তৃনমুলের থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন অনেক সমর্থক।
যদিও সমস্ত অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছেন তৃনমুল নেতা দীনবন্ধু ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি এই এলাকার প্রতিবাদের মুখ। সমস্ত অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছি। তাতে যাদের গায়ে ঘা লেগেছে, তারাই আমার নামে বদনাম করছে।”
যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বর্ধমান এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী কাকলি গুপ্ত। তিনি জানান দলীয় স্তরে ইতিমধ্যেই দীনবন্ধুর উপর তদন্ত চালানো হচ্ছে। এছাড়া বিষয়টি দেখছে পুলিশও। তবে এ নিয়ে ফের একবার কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর মতে, এর থেকেই বোঝা যায় নিচু তলার কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর কথাই শোনেননা, এটাই তার প্রমান।