বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে শুধু নায়ক নায়িকার জুটিই যে জনপ্রিয় এমনটা কিন্তু নয়। দুই অভিনেতার মধ্যেও অনস্ক্রিন এবং অফস্ক্রিন ভাল বন্ধুত্ব থাকতে পারে। এমনি এক সুপারহিট জুটি ছিল অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) এবং বিনোদ খান্নার (Vinod Khanna)। কিন্তু উত্থান পতন সব ক্ষেত্রেই থাকে। এই জুটির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
একসঙ্গে প্রায় ১০টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বিনোদ। ‘রেশমা অউর শেরা’ ছবির হাত ধরে যে জুটির পথচলা শুরু হয়েছিল সেই জুটি অনেকদিন পর্যন্ত চলেছিল। কিন্তু ‘মুকাদ্দর কা সিকন্দর’ ছবিতে এক কাণ্ড ঘটে যায় যার জেরে কেরিয়ারে বড়সড় ধাক্কা লাগে বিনোদ খান্নার।
কী ঘটেছিল সিনেমার সেটে?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল ছবিটি। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। ছবিতে অমিতাভ, বিনোদ খান্নার পাশাপাশি ছিলেন রাখি, রেখা, আমজাদ খান এবং রঞ্জিত। ছবিটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেললেও বিনোদ খান্নার সঙ্গে এক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল এই ছবির শুটিংয়ের সময়। তাঁর প্রাণ সংশয়ও হতে পারত।
ফাইটিং দৃশ্যের সময় ঘটে দুর্ঘটনা
মুকাদ্দর কা সিকন্দর ছবিতে এক ফাইটিং দৃশ্যের শুটিংয়ের সময়ে গুরুতর আহত হন বিনোদ খান্না। আর এর জন্য দায়ী ছিলেন খোদ অমিতাভ। তাঁর জন্য বিনোদের যে বড় ক্ষতিটা হয়েছিল তার জন্য এখনো পর্যন্ত আফসোস করেন বিগ বি। এ ব্যাপারে কউন বনেগা ক্রোড়পতি শোতে নিজেই মুখ খুলেছিলেন তিনি।
গুরুতর আহত হন বিনোদ খান্না
ফাইটিং দৃশ্যে বিনোদ খান্নার দিকে কাঁচের গ্লাস ছুড়ে মারার কথা ছিল। অন্যদিকে অভিনেতার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বাঁচিয়ে পাশে সরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় মতো সরতে পারেননি বিনোদ। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছিল। কাঁচের টুকরো বিঁধে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যান বিনোদ।
নিজেকে ক্ষমা করতে পারেননি অমিতাভ
বিগ বি জানিয়েছিলেন, প্রথমে সবকিছু ঠিকই ছিল। দুই অভিনেতাকে যেমন যেমন বলা হয়েছিল তারা তেমন তেমনই করছিলেন। পরিচালক অ্যাকশন বলতেই নির্দেশ মতো কাঁচের গ্লাস নিয়ে বিনোদ খান্নার দিকে ছুড়ে মারেন অমিতাভ। কিন্তু তারপরেই সবটা গণ্ডগোল হয়ে যায়।
সময় মতো সরতে না পারায় গ্লাস গিয়ে লাগে বিনোদের থুতনিতে। কাঁচ গেঁথে গিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসে রক্ত। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে ইউনিট হতভম্ব হয়ে গেলেও তারপরেই শোরগোল পড়ে যায়। মাঝরাতে তড়িঘড়ি বিনোদ খান্নাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটে গোটা ইউনিট। ১৬ টা সেলাই পড়েছিল অভিনেতার। ওই ঘটনায় নিজেকেই দোষী ভেবে নিয়ে বারংবার বিনোদ খান্নার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন অমিতাভ। বিনোদ খান্না সুস্থ হয়ে উঠলেও ওই সেলাইয়ের দাগ থেকে যায় তাঁর থুতনিতে।