ভাইরাল হলো বাবুল সুপ্রিয়র চুলে মুঠি ধরে টানা বামপন্থী যুবক

বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাল লজ্জাজন ঘটনার সাক্ষী থাকে। এমন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যা শিক্ষিত সমাজকে লজ্জিত করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে গিয়ে SFI ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা হেনস্থা হন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বামপন্থীদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাল বিকেল থেকে চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠে। যাদবপুরে আজাদী গ্যাং সক্রিয় হয়ে আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবলু সুপ্রিয়কে হেনস্তা করে। শুধু এই নয়, রাজ্যপাল বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে পৌঁছালে উনার গাড়িকেও আটক করে বামপন্থী SFI এর কর্মীরা। নিজেদের ছাত্র ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দিলেও এরা নকশালীদের থেকে কিছুতেই কম নয় বলে দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাবুল সুপ্রিয়র গায়ে হাত দেওয়া থেকে শুরু করে চশমা খুলে নেওয়ার মতো অসভ্য আচরণ করে বামপন্থী ছাত্ররা।

received 626754054517765

বাবুল সুপ্রিয়কে ঘেরাও করার গুণ্ডার মতো আচরণ করতে থাকে বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা। বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য নিজের মাথা ঠান্ডা রেখে দক্ষ রাজনীতিবিদের পরিচয় দেন। অন্যদিকে SFI এর কিছুজন বাবুল সুপ্রিয়র চুল ধরে টানাটানি পর্যন্ত করে। বাবুল সুপ্রিয়র সাথে এমন অসভ্য আচরণ কে করছে তা প্রথম দিকে বামেদের বড়ো নেতারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে স্পষ্ট হয়ে যায় যে সকলেই SFI এর যুক্ত ছেলে মেয়ে।

বাবুল সুপ্রিয়র চুল ধরে টানা ছেলেটির ছবিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সামনে চলে এসেছে। ছেলেটির নাম দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলে জানা যাচ্ছে। দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় USDF করে বলে তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা গেছে। ছেলেটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নান গ্রুপে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বাবুল সুপ্রিয় টুইট করেও ওই ছবি পোস্ট করেছেন। বাবুল সুপ্রিয়র উপর আক্রমণকারী অনেকেই মাথায় লাল ফেট্টি বেঁধে ছিল। কাল বাবুল সুপ্রিয়র উপর হওয়া আক্রমনের পর অনেকেই আক্রমনকারীদের ছবি বের করার চেষ্টায় নেমে পড়ে। কিছুক্ষনের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল সুপ্রিয়র উপর আক্রমণকারীর ছবি পোষ্ট সামনে চলে আসে।

 

EE4A3YcUcAAHeCr

ছবি পোস্টের সাথে ছেলেটির শাস্তির দাবি তোলা হয়। জানিয়ে দি, রাজ্যের সব থেকে সম্মানীয় ব্যাক্তি রাজ্যপালের গাড়ি আটকে SFI এর কর্মীরা উপদ্রব করেছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছিল। রাজ্যপালের গাড়ি আটক করে উপদ্রব করা এবং কেন্দ্রীয়মিন্ত্রীকে হেনস্তা করা SFI কর্মীদের বিরুদ্ধে এখন অবধি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সম্পর্কিত খবর