বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই খবর মিলেছিল, এবার হোটেলের কাজ ছেড়ে সিনেমায় নাম লেখাচ্ছেন নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। তারপর থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন ডালহৌসির স্মার্ট দিদি। আর এবার তো সোজা সেট থেকেই ছবি দিলেন তিনি। পাশাপাশি সেট থেকে অনুরাগীদের জন্য লাইভও করলেন তিনি। অর্থাৎ খবর যে মিথ্যা নয় তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নন্দিনীর ডেবিউ ছবির নাম ‘তিন সত্যি’ (Tin Sotti)। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নাকি শুরু হয়ে গেছে ছবির শ্যুটিং-ও। পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন সত্যির সেটে প্রথম দিনে।’ এছাড়াও লাইভে যখন কথা বললেন তখন আলাদাই উচ্ছ্বাস দেখা গেল তার চোখে মুখে। ভক্তদের বললেন, ‘তোমাদের দিদি এখন সিনেমার নায়িকা।’
এইদিন ছবির লুকেই ধরা দিলেন ভাইরাল দিদি নন্দিনী। সাবিত্রী চট্টপাধ্যায়ের (Sabitri Chatterjee) সঙ্গে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি। তাদের স্ক্রিন শেয়ারের সেই মুহুর্তকে ফ্রেমবন্দি করেছেন রাজ সাহা। উল্লেখ্য, ছবিতে তার চরিত্রের নাম নিলাক্ষী। গল্প অনুযায়ী সে একজন লেখিকা। মূলত থ্রিলারধর্মী গল্প হতে চলেছে এটি। চরিত্রটাকে আত্মস্থ করার জন্য নন্দিনীও মরিয়া চেষ্টা করে চলেছেন। তাই তো পরিচালকও নন্দিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, ‘নন্দিনী বেশ সুন্দর করে চরিত্রটাকে আত্মস্থ করেছে। আমাকে চরিত্রটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছে ও, যাতে ভালো করে বুঝতে পারে।’
আরও পড়ুন : ‘পোজ দিচ্ছেন অনুষ্কা, ছবি তুলছেন অরিজিৎ’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভারত-পাক ম্যাচের বিশেষ মুহুর্ত
পরিচালকের আরও সংযোজন, ‘আমাকে চরিত্রটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছে ও, যাতে ভালো করে বুঝতে পারে। প্রথম দিকে অনস্ক্রিন আসা নিয়ে অনেক ভয় ছিল ওর মনে। কতটা পারবে তা নিয়ে দ্বিধা ছিল। কিন্তু এখন দেখছি খুব সুন্দর করে চরিত্রটার মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। কোনওদিন ছবিতে যে অভিনয় করেনি, তার পক্ষে এই কাজটা চ্যালেঞ্জিং। যতটা ঝুঁকি আমি নিয়েছিলাম, ততটাই ও নিয়েছিল। আর তাতে নন্দিনী সফলও হয়েছে।’
আরও পড়ুন : বিয়ের ৮ মাসেই অন্তঃসত্ত্বা! সুখবর দিলেন মোহর, বাবা হতে চলেছেন দুর্নিবার
নন্দিনীর জীবনের চড়াই উৎরাই-র কথা বললে, ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। এরপর ব্যাঙ্গালোরে চাকরিও করেছেন কিছুদিন। তবে করোনাকালে পরিবারের অবস্থা এতটাই খারাপ পর্যায়ে ছিল যে, বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হন। কলকাতায় ফিরে বাবার পাইস হোটেলের হাল ধরেন। রান্না থেকে শুরু করে খাবার পরিবেশন, ক্যাশবাক্সের হিসেব রাখা সবটাই একা হাতে করেন তিনি। আর এখন তো পৌঁছে গেলেন সিনেমার পর্দাতেও।