বৈষম্যের বিরুদ্ধে বার্তা, দলিত সম্প্রদায়ের স্বামীজীর চেবানো খাবার খেলেন কংগ্রেস বিধায়ক! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের দুর্ভোগের খবর প্রায়শই উঠে আসে খবরের শিরোনামে। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানিও ঘটে তাঁদের। যদিও, ভোটের আবহে রাজনৈতিক নেতারা এই বিষয়টিকে সহজ করার জন্য দলিতদের বাড়িতে গিয়ে খাওয়ার খেয়ে আসেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডাক দিয়ে তাঁদের সাথে সামাজিক বিভেদের বিষয়টি লঘু করার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু, তাও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত একঘরে হয়েই থেকে গিয়েছেন দলিতরা।

এমতাবস্থায়, সম্প্রতি এক নজিরবিহীন ঘটনা সামনে এল। দলিতদের প্রসঙ্গে জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে এক অদ্ভুত কান্ড ঘটালেন চামারাজপেটের কংগ্রেস বিধায়ক জামির এ খান। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। যেখানে নেটিজেনরাও প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন।

মূলত, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে গিয়েই এক অদ্ভুত কান্ড ঘটান ওই বিধায়ক। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি মিটিং চলাকালীন সেখানে প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেই সময়েই অনুষ্ঠানের মঞ্চে কংগ্রেস বিধায়ক জামির এ খান দলিত সম্প্রদায়ের স্বামী নারায়ণকে নিজের হাতে খাইয়ে দেন। তবে, এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি বিধায়ক। তারপরেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে স্বামী নারায়ণের মুখ থেকে খাবার বের করে বিধায়ক জামির এ খান সটান তা নিজের মুখে ভরে দেন।

এদিকে, এই নজিরবিহীন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে ওঠেন এবং বিধায়কও উত্তেজিত হয়ে টেবিলে মারতে থাকেন। এমতাবস্থায়, এহেন ভিডিও নেটমাধ্যমে আসার পরই তা দ্রুত ভাইরাল হতে শুরু করে। পাশাপাশি, ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিভিন্ন মজার কমেন্ট করলেও অধিকাংশজনই আবার ওই বিধায়কের প্রশংসাও করেছেন।

দিয়েছিলেন বিতর্কিত বক্তব্য:
প্রসঙ্গত জামির এ খান সেই একই বিধায়ক যিনি এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ইসলামে হিজাব মানে পর্দা। মেয়ে/সন্তান যখন বড় হয়, তখন তাকে হিজাবে রাখা হয়। অর্থাৎ তাকে লুকানোর জন্য তা পরানো হয়, নিজের সৌন্দর্য দেখানোর জন্য নয়। আজকে দেখছেন ভারতে ধর্ষণ বাড়ছে। নারীরা পর্দায় থাকে না বলেই এসব হচ্ছে। কিন্তু যারা নিজেদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখতে চায়, রক্ষা করতে চায়, তারা হিজাব পরে। এটা আজ থেকে নয়, বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর