বাংলা হান্ট ডেস্ক: একদম ছোটবেলা থেকেই কখনও গল্পের আকারে আবার কখনও বইয়ের মাধ্যমে আমরা ভারতের মনীষীদের সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করি। তাঁদের ভাবনা, কর্মকান্ড এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন সকলেই।
পাশাপাশি, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করার যে সাহস অর্জিত হয়েছিল সেখানেও বিভিন্ন যুগনায়কদের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত হয় ভারত।
আর ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রাম বলতেই যাঁর নাম একদম প্রথমে মাথায় আসে তিনি হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের স্তম্ভ একাই নড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। গত রবিবার ছিল এই মহামানবের জন্মদিন। সমগ্র দেশজুড়ে মহাসমারোহে পালিত হয় নেতাজির জন্মদিবস।
কিন্তু, কলকাতায় দেখা গেল অন্য চিত্র! খোদ নিজের শহরের মানুষই বোধহয় ভুলতে বসেছেন তাঁকে। দুর্ধর্ষ এক বাঙালির আত্মত্যাগের এমন প্রতিদান আশা করেননি কেউই! ঘটনাটি ঘটেছে একটু অন্যভাবে। কলকাতার একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটার তথা ইউটিউবার প্রিয়ম ঘোষ নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি ভিডিও বানান।
যেই ভিডিওতে কলকাতার রাস্তায় পথচলতি মানুষদেরকে কিছু প্রশ্ন করতে দেখা যায় তাঁকে। স্বভাবতই সেইসমস্ত প্রশ্নগুলি ছিল নেতাজিকে ঘিরেই! অত্যন্ত সহজ এবং সাধারণ সেই প্রশ্নগুলিরই উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে শহরের মানুষদের। আর ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই যা দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন সকলে।
ওই ভিডিওটিতে ২৩ জানুয়ারির বিশেষত্ব হিসেবে প্রশ্ন করা হলে কেউ কেউ জানান যে, সেটি প্রজাতন্ত্র দিবস! শুধু তাই নয়, একজন বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে জানান যে, ওই দিন জওহরলাল নেহেরু জন্মেছিলেন!
পাশাপাশি, নেতাজিকে নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন উদ্ভট দাবি জানাতে থাকেন। কেউ কেউ জানান যে, সুভাষচন্দ্র বসু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আবার কেউ জানান, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অনেকে তো আবার তাঁকে রাষ্ট্রপতিও বানিয়ে দেন।
স্বভাবতই কলকাতার মানুষদের থেকে এইরকমই প্রতিক্রিয়া পেয়ে চমকে যান প্রিয়মও! ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। নেতাজির মতো একজন আইকনের জীবন এবং কর্মকাণ্ডকে কিভাবে কলকাতার মানুষ ভুলে যেতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই!