বাংলাহান্ট ডেস্ক : রোজকার মতোই অফিসের উদ্দেশ্যে দৌড়চ্ছেন নিত্য যাত্রীরা। একেবারে ভিড়ে ঠাসা উলুবেড়িয়া হাওড়া লোকাল। কিন্তু সাতসকালেই কাবলিং খুলে গেল চলন্ত সেই লোকাল ট্রেনের। হাওড়া দক্ষিণ-পূর্ব শাখার সাঁকরাইল এবং আবাদা স্টেশনের মাঝে লোকাল ট্রেনের কাপলিং খুলে গেলেও শেষপর্যন্ত উলুবেড়িয়া হাওড়া লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেল। দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আঁচ করেই চালক অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনে যাত্রীদেরকে অন্য ট্রেনে করে গন্তব্যে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। এরপরই কাপলিং খুলে যাওয়া লোকাল ট্রেনটিকে থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কারশেডে। তবে এই ঘটনার জেরে ডাউন লাইনে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
রেলওয়ে সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ সাঁকরাইল এবং আবাদা স্টেশনের মাঝে হাওড়া থেকে উলুবেরিয়া যাওয়ার পথে একটি লোকাল ট্রেনের সাত এবং আট নাম্বার কামরার মাঝের কাপলিং হঠাৎই খুলে যায়। তবে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আদিকারী কে এস আনন্দ বলেন, “উলুবেড়িয়া-হাওড়া লোকালের ৭ ও ৮ নম্বর বগির মাঝের কাপলিং খুলে যায়। এই ঘটনায় দক্ষিণ-পূর্ব শাখার ডাউনের ওই লাইনে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত ছিল। তবে তিনটি লাইন থাকায় বড় কোনও সমস্যা হয়নি।”
রেলযাত্রীদের কথায়, রোজকার মতো আজকে সকালেও সাড়ে আটটা নাগাদ উলুবেড়িয়া থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে লোকাল ট্রেনটি রওনা দেয়। হঠাৎ করেই সাঁকরাইল এবং আবাদা স্টেশনের মাঝখানে খুব জোরে ঝাঁকুনি হয়। ভয়ংকর ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটি থেমে যেতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তারপরই দেখা যায় ট্রেনের দুটি কামরার মাঝে কাপলিং খুলে গিয়েছে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটে আসেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীরা। তারপরেই রেল কর্মীদের তৎপরতায় ওই লোকালের সমস্ত যাত্রীদের কে অন্য ট্রেনে তুলে দেবার বন্দোবস্ত করা হয়। চালকের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হলেও ইতিমধ্যেই ট্রেনটিকে কার সাথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে চলন্ত ট্রেনের মাঝে কাপলিং খুলে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কে এস আনন্দ।