বাংলাহান্ট ডেস্ক : নারদা কাণ্ড (Narada Scam) মনে পরে? সেই স্ট্রিং অপারেশন যেখানে মদন মিত্র (Madan Mitra) ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সহ তৃণমূলের একাধিক প্রভাবশালী নেতাকে ‘ঘুষ’ নিতে দেখা গিয়েছিল। এবার আবারও এক স্ট্রিং অপারেশন (String Operation)। তবে এবার আর কোনও সংবাদমাধ্যম নয়। স্ট্রিং অপারেশন চালালেন চাকলার এক সাধারণ যুবক। ভাইরাল হলো তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের অবৈধ ভাবে টাকা নেওয়ার ভিডিও।
কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের (Central Government Scheme) টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল অনেক আগেই। এবার একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়লেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনৈতিক ভাবে উপভোক্তার কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার ভিডিয়ো সামনে এল চাকলা পঞ্চায়েত প্রধানের৷ অভিযোগ উঠেছে, দেগঙ্গার চাকলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মৌমিতা দাস কাহার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দু’দফায় প্রায় 30 হাজার টাকা হাতিয়েছেন এক উপভোক্তার থেকে।
ক্যামেরার সামনেই টাকা নিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান
এক উপভোক্তার থেকে চাকলা পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি নেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (Head of Chakla panchayat allegedly went viral for corruption) নেটমাধ্যমে। ওই ভিডিওতে উপভোক্তা এবং পঞ্চায়েত প্রধানের টাকা দেওয়া-নেওয়ার কথোপকথন এবং ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে মোবাইল ক্যামেরায়। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেগঙ্গা এলাকায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কাটমানি নেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান মৌমিতা দাস কাহার৷
পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলীয় কর্মীদেরই
পঞ্চায়েত প্রধান যে দুর্নীতির করতেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল সদস্যরাও। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের বরখাস্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এই সুযোগে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে,সরকারি প্রকল্পে একের পর দুর্নীতির অভিযোগে চাকলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মৌমিতা দাস কাহারকে বরখাস্ত করার দাবিতে দেগঙ্গার বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা।