কনের পাশে বসে পণের আবদার! দাবি না মিটলে বিয়ে ভাঙার হুমকি বরের! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পণ দেওয়া এবং পণ নেওয়া দুটিই আইনের চোখে গুরুতর অপরাধের সমান। বহুযুগ আগে থেকেই অত্যন্ত খারাপ এই পন্থা চলে আসছে আমাদের দেশে। তবে, বর্তমান সময়ে পণের রমরমা অনেকাংশে কমলেও দেশের এখনও বিস্তীর্ণ অংশে এই প্রথার চল রয়েছে।

এদিকে, প্রায়শই পণের জন্য বধূ নির্যাতনের ঘটনা উঠে আসে খবরের শিরোনামে। এমনকি, অধিকাংশ সময়ে নির্দিষ্ট পণ না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে প্রাণও হারাতে হয় নববধূদের। তাই, এহেন ঘৃণ্য পন্থাকে অবলুপ্তির পথে নিয়ে যেতে সক্রিয় হয়েছেন অধিকাংশ মানুষই।

   

তবে, সম্প্রতি আবারও পণের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে আলোচনার চর্চায়। বর্তমানে নেটমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত সকলে। আধুনিক ভারতেও কিছু মানুষের এমন মানসিকতা দেখে অবাক সকলেই। নিজেকে সরকারি কর্মচারী দাবি করে সঠিক পণ না পেয়ে বিয়ে করতেই অস্বীকার করেছেন এক যুবক।

শুধু তাই নয়, পণ নেওয়া যে দোষের কিছু নয় তাও জোর গলায় বলতে থাকেন তিনি। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, নির্ধারিত পণের জিনিস না পেয়ে বিয়ে করতেই অস্বীকার করেছেন উপস্থিত বর। এমনকি, বিয়ের পরে বাকি জিনিসগুলি যৌতুক হিসেবে তুলে দেওয়া হবে জানালেও তা মানতে নারাজ থাকেন তিনি।

এছাড়াও, “ডিমান্ড” পূরণ না হলে ফের বরযাত্রী সহ বাড়ি চলে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন বর। জানা গিয়েছে যে, ওই বর একজন শিক্ষকের ছেলে। নিজেকেও সরকারি কর্মচারী হিসেবে দাবি করেছেন তিনি। কোনো ভাবেই পণ ছাড়া তিনি বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এদিকে, পণ নেওয়ার মধ্যে যে দোষের কিছু নেই তাও বলতে থাকেন ওই বর। সোনার চেন, আংটি না পেলে বিয়ে করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে বারবার ভিডিওটিতে বলতে থাকেন তিনি। শেষে, তিনি তাঁর বাবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে আদৌ বিয়ে করবেন কিনা সেই বিষয়টিও জানিয়ে দেন। এদিকে, এই ভিডিও সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছেন অভিযুক্ত বর।

https://twitter.com/humlogindia/status/1500365349304225796?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1500365349304225796%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fzeenews.india.com%2Fhindi%2Foff-beat%2Fgroom-start-demanding-dowry-bride-angry-on-him-in-wedding%2F1118679

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পণ নেওয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতীয় ফৌজদারি আইনে ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়। পণের ক্ষেত্রে অভিযুক্তর ন্যূনতম ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর