বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজো মানেই আনন্দ, খাওয়া,আড্ডা, নতুন জামা ,ঘোড়া, মজা করা ,আরো কত কিছু। কিন্তু শহরের আরেকপ্রান্তের ছবি দেখলে বোঝা যায়, এই দুর্গাপুজা এলেই সেই সব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা দুমুঠো ভাত খাবার জন্য টাকা জোগাড় করতে পারে। নাহলে এমনি সময় রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে সবাই কি পথের ধারে বসে থাকা মানুষদের টাকা দেয়?
যাই হোক এবার আসা যাক মূল কথায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি reels খুবই ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওটিতে (Viral Video) একজন গরীব অসহায় দুঃখী মাকে কাঁদতে কাঁদতে হাত পাততে দেখা যায় কলকাতার প্রাণ কেন্দ্র নিউটাউনে। যা দেখে চোখে জল আটকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। অভি ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এই ভিডিওটি। সেই রিলসটিতে একজন গরিব-দুখিনী মাকে ভিক্ষা করতে দেখা গেছে।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত অফার নিয়ে হাজির এই ব্যাঙ্ক! পাবেন চড়া হারে সুদ, FD করলেই হয়ে যাবেন মালামাল
অভি ভট্টাচার্য তার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ” সন্ধ্যা সমাগত ….নিউ টাউন অ্যাক্সিস মল সিগনালে হঠাৎ দাঁড়াতে হল। সহসা চোখে পড়লো এই ভদ্রমহিলাকে। এই প্রকার ভিখারী আমি জীবনে কোনদিন দেখিনি। কাছে ডেকে কারন জানতে চাইলাম। অকপটে শোনালেন জীবন কাহিনী। কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম। মোচড় দিচ্ছিল বুকের ভেতর। মহিলাটি চলে গেলেন ……সিগন্যাল আবার চালু হলো। চারিদিকে সবাই দেবী আরাধনায় ব্যস্ত। আমি এবার অষ্টমীর পুজোটা দিতে পারিনি। তাই কি দেবী নিজেই পূজো নিয়ে গেলেন এই রূপে ? ? সবই তোমার ইচ্ছা প্রভু। সবার মঙ্গল হোক “।
আরোও পড়ুন : তাণ্ডব চালাল ‘হামুন’, অন্ধকারে ঢাকল বাংলাদেশ! ওপার বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের বলি একাধিক
ভদ্রলোক ওই মহিলাকে কিছু টাকা দিয়ে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন । আজ না হয় ওই ভদ্রমহিলা একটু সাহায্য পেলেন কিন্তু কাল তার কি হবে? কিভাবে বাঁচবেন তিনি? ঘুরে ফিরে আসছে সেই প্রশ্ন। এদিকে, বৃদ্ধার কথায়, একটা মাত্র ছেলে সেও যে আর পৃথিবীতে নেই। আত্মীয়-স্বজনও তাকে দেখে না। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করছেন। তিনি এয়ারপোর্টের কাছে বস্তিতে থাকেন বলেই জানা গিয়েছে।
ফেসবুকের দৌলতে পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ কমেন্ট করেছেন। সাহায্যকারী ব্যক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। বলা বাহুল্য, হায়রে আমাদের সমাজ, যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এক মায়ের আরাধনা করা হয়, আলোক শয্যায় সেজে ওঠে চারিদিক আর সেখানেই কত অসহায় মা, শিশুরা না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় দিনের পর দিন।