বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটানা ২৪ ঘণ্টা মোদী জপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল ভিডিও (Viral Video)। নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিনে এরকমই এক কাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম কামিয়ে নিচ্ছেন এক যুবক। আনমোল বাকা নামের ওই যুবক ঠিক করেছেন যে, নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে তিনি গোটা ২৪ ঘণ্টা একটাই কাজ করবেন, আর সেটি হল মোদী মোদী জপ। আর এই মোদী জপের ভিডিও তিনি ইউটিউবে লাইভ করেন। আনমোলের এই ভিডিও এখনো পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছেন।
আনমোল তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে লেখেন, ‘গত এক বছরে আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়ই অনেক কিছুই শুনেছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি কেবল তাঁর ও আমাদের জাতির জন্য যা কিছু করেছেন তিনি, সেটির প্রতি আমি অগাধ শ্রদ্ধা রেখেছি। ওনার প্রতি আমার সমর্থন কখনও শেষ হবে না এবং এটি ওনার প্রশংসা করার জন্য সামান্য প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।”
আরেকদিকে, নরেন্দ্র মোদীর মূর্তি বানিয়ে পুজো করা হচ্ছে বিহারের একটি গ্রামে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) দেশ আর বিদেশে কোটি কোটি ফ্যান আছে। কিন্তু, বিহারের একটি গ্রাম এমনও আছে যেখানে প্রতিটি বাড়িতেই ওনার ভক্ত আছেন। এই গ্রেয়ামে দুই বছর আগে নরেন্দ্র মোদীর মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানকার সবাই সকাল সন্ধ্যে নরেন্দ্র মোদীর পুজো করেন এবং আরতি করেন। কাটিহারের আজমনগরের আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দারা নরেন্দ্র মোদী মূর্তি একটি মন্দিরে স্থাপনা করেছেন।
ওই গ্রামের মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে উন্নয়নের দেবতা মানেন। আর সেই কারণেই তাঁরা নরেন্দ্র মোদীর মন্দির বানিয়েছেন। এই মন্দির গ্রামের বজরংবলির মন্দিরের ঠিক পাশেই। মন্দিরের নির্মাণের জন্য গোটা গ্রাম এক হয়ে চাঁদা তুলেছিন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে আনন্দপুর গ্রামে উৎসবের মহল থাকে। প্রতি বছর ১৭ ই সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে মন্দিরটিকে বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়। প্রতিটি বাড়িতে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়। এর সাথে সাথে গ্রামের রাস্তা ঘাট পরিস্কার করা হয়। নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে ওই গ্রামে ব্যাপক হারে স্বচ্ছতা অভিযান চালানো হয়।
নরেন্দ্র মোদীর প্রতি এই গ্রামের মানুষের ভালোবাসার একটি কারণও আছে। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রাম স্বাধীনতার সাত দশক পর্যন্ত নানারকম সমস্যার সন্মুখিন ছিলেন। গ্রামে একটিও পাকা রাস্তা ছিল না। কিন্তু, সেখানে এখন পাকা রাস্তা আছে, বিদ্যুৎ, জল সমেত সমস্তরকম সুবিধা আছে। গ্রামবাসীদের অনুযায়ী, এগুলো সব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসার পরই হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মনজ কুমার সাহা বলেন, এখানে আপাতত ছোট করে নরেন্দ্র মোদীর মূর্তি রেখে পুজো করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এখানে বড় একটি মন্দির বানানো হবে ওনার নামে। আর এই মন্দির বানানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নেওয়া শুরু করে দিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যে মন্দির বানানোর জন্য বৈঠকও ডাকা হবে। পঞ্চায়েত প্রধান লালন বিশ্বাস বলেন, প্রায় ২০০ বাড়ির এই গ্রামের প্রত্যেকেই নরেন্দ্র মোদীকে ভগবান হিসেবে মানে। আর এই কারণে তাঁরা চায়, প্রধানমন্ত্রী যেন অন্তত একবার এই গ্রামের সফরে আসুক।