টুকলি করার ব্যাপক স্কিম! ক্লিপবোর্ডে স্মার্টফোন লাগিয়ে পরীক্ষায় পড়ুয়া! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্কুল থেকে এক্কেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য নেওয়া হয় পরীক্ষা। সেই ফলাফলের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় তাদের ফলাফল। এমনকি, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে, সময়ের সাথে সাথে পরীক্ষা ব্যবস্থাতে এসেছে একাধিক পরিবর্তন। সেই সঙ্গে পাল্টেছে পরীক্ষা দেওয়ার ধরণও।

বর্তমান সময়ে প্রায়শই বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষার্থীদের নকল করার প্রসঙ্গ শুনতে পাই। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা কার্যত গণটোকাটুকির রুপ নেয়। শুধু তাই নয়, যত দিন এগোচ্ছে ততই যেন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নিত্যনতুন নকল করার উপায়ও সামনে আসছে পরীক্ষার্থীদের। তবে, এবার যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দেখে কার্যত অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে।

নকল করার অভিনব কৌশল অবলম্বন করল দশম শ্রেণির ছাত্র:
সম্প্রতি হরিয়ানার ফতেহাবাদের ভুথান কালানে এক ছাত্র পরীক্ষায় নকল করার জন্য এমন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, যা দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সকলের। জানা গিয়েছে যে, ইংরেজি পরীক্ষায় কাঁচের ক্লিপবোর্ডের মাঝখানে মোবাইল ফোন লাগিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয় দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাচ্ছিল ওই ছাত্র। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। বরং হরিয়ানার স্কুল এডুকেশন বোর্ডের ফ্লাইং স্কোয়াডের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই ছাত্রটি।

এদিকে, পরীক্ষায় প্রতারণার এমন কাণ্ড দেখে স্তম্ভিত সবাই। এই সংক্রান্ত ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, ক্লিপবোর্ডের সাথে এক্কেবারে সেট করা ছিল স্মার্টফোনটি। এমনকি, সেটিতে হাত দিতেই একটার পর একটা পৃষ্ঠা ভেসে উঠছে স্ক্রিনে। ইতিমধ্যেই সাংবাদিক দীপেন্দর দেশওয়াল ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন যে, “স্কুল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষায়, হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল করার জন্য একজন পরীক্ষার্থী ক্লিপবোর্ডে একটি স্মার্টফোন লাগিয়েছিল। ফ্লাইং স্কোয়াড এটিকে শনাক্ত করেছে।”

এদিকে, এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার অভিনব সব উপায়ে পরীক্ষায় নকল করার বিষয় সামনে এসেছে। রাজস্থানের শিক্ষক নির্বাচন পরীক্ষায়, কিছু পরীক্ষার্থী নকল করতে গিয়ে জুতোর মধ্যে ব্লুটুথ লাগিয়ে এসেছিলেন। অপরদিকে উত্তরপ্রদেশে, একজন প্রার্থী পরচুলার মধ্যে নকল নিয়ে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর