বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ কেউ কেউ বলছেন ২০০৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের সচিন টেন্ডুলকার। কেউ তুলনা করছেন ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের লিওনেল মেসির সাথে। আবার কেউ গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে তুলনা টানছেন। গোটা টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) হয়ে অসাধারণ ক্রিকেট খেললেও এবং ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) বড় রান পেলেও দেশের জার্সিতে দ্বিতীয়বার ওডিআই বিশ্বকাপ (2023 ODI World Cup) জিততে ব্যর্থ হলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।
২০১১ সালে গৌতম গম্ভীরের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভর করে ভারতীয় দল যখন ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল, তখন বিরাট কোহলি ও সেই দলের অংশ ছিলেন এবং কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনিও পালন করেছিলেন সেই জয়ে। আজ তার কাছে সুযোগ ছিল প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটের হিসেবে জোড়া ওডিআই বিশ্বকাপ জয় করার।
প্রথম ইনিংসে সেই উদ্দেশ্য নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনার কাছে কিছুটা ভাগ্যের দোষেও ৫৪ রানের ব্যক্তিগত স্কোর করে তাকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় এবং ভারতীয় দলের পতনের শুরুটাও ঠিক সেখান থেকেই। গত বছরও ঠিক এভাবেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন কিন্তু ভারতীয় দলকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রোহিতরা নীরব দর্শক! অনবদ্য খেলে WTC-র পর বিশ্বকাপ ফাইনালেও ভারতের মাথাব্যথার কারণ হেড
আজ তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন। চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। কোনও একটি নির্দিষ্ট ওডিআই বিশ্বকাপ সংস্করণে সর্বাধিক রান করার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন নিজের আদর্শ সচিন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে। সবকিছুই হলো, কিন্তু হাতে উঠল না বিশ্বকাপটি।
আরও পড়ুন: কেন হারলেন? ছলছল চোখে রোহিত যা উত্তর দিলেন শুনলে মন খারাপ হবে আপনারও
তবে এরই মধ্যে ভারতের প্রাক্তন ও তারকা ওপেনার গৌতম গম্ভীরের একটা কীর্তি ছুঁয়ে ফেলেছেন বিরাট। ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে গৌতম গম্ভীর ৫৬ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করেছিলেন। এই বিশ্বকাপ ফাইনালেও ঠিক একই কাজ করেছিলেন কোহলি। একমাত্র বীরেন্দ্র সেওবাগ (৫০) ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (৫২) ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় হিসেবে তাদের চেয়ে দ্রুত হাফসেঞ্চুরি করেছেন।