বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিঘা-পুরী ছাড়িয়ে সমুদ্র প্রেমীদের আরও এক প্রিয় পর্যটনস্থল হয়ে উঠেছে ওড়িশার গোপালপুর (Gopalpur)। অপর দুই সমুদ্র সৈকতের মতো এখনও পর্যটকদের ভিড়ে ভিড়াক্কার হয়ে উঠতে পারেনি এই স্থান। তাই অনেকেই ভিড়ভাট্টা এড়ানোর জন্য পৌঁছে যান গোপালপুরে। তবে এখানে সমুদ্র মূল আকর্ষণ হলেও আরও একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে গোপালপুরে (Gopalpur)। পর্যটকদের দৃষ্টি পড়ার আগেই ঘুরে আসতে পারেন এই ‘অফবিট’ জায়গাগুলি থেকে।
উইকেন্ডে ঘুরে আসুন গোপালপুরের (Gopalpur) এই অফবিট জায়গাগুলি থেকে
গোপালপুর থেকেই কাছেপিঠে রয়েছে আরও একাধিক পর্যটনস্থল। পুরীর মতো দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। দিঘা গেলেই পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন জগন্নাথ মন্দিরে। তবে জানেন কি, গোপালপুরেও (Gopalpur) রয়েছে এক তীর্থক্ষেত্র। তবে পর্যটকদের নজরে না পড়ায় এখনও তেমন ভিড় জমেনি এখানে।
পাহাড় চূড়ায় রয়েছে মন্দির: পুরুষোত্তমপুরের কাছে রুশিকূল্যা নদীর পাড়ে রয়েছে ওড়িশার ‘শক্তিপীঠ’। সুবিশাল কুমারী পাহাড়ের চূড়ায় তারা তারিণী মন্দির। সেখানে পৌঁছাতে গেলে চড়তে হবে ১০০০ সিঁড়ি। চারিদিক সবুজে মোড়া মন্দিরটির স্থাপত্যশৈলী মুগ্ধ করে। মায়ের থানে মন শান্ত হবেই।
আরো পড়ুন : ‘বাংলায় কথা বলতে লজ্জা লাগে?’ তুমুল ট্রোলের মুখে পড়ে শেষমেষ জবাব প্রসেনজিতের
মুগ্ধ করবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: ২০ কিমি দূরেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর এবং রুশিকূল্যা নদীর মোহনা। তারও আগে ১৬ কিমি দূরেই রয়েছে প্রাচীন গোপালপুর (Gopalpur) বন্দর। ধবলেশ্বর মন্দির এবং সৈকত রয়েছে ১৮ কিমি দূরে। এখানে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্যশৈলীর গোপালকৃষ্ণ মন্দির। রয়েছে লাইটহাউস। তার মাথায় চড়তে পারলেই পাখির চোখে ধরা দেয় নির্জন সমুদ্র সৈকত, সোনালি বালি ছুঁয়ে যাওয়া ঢেউ। তবে লাইটহাউসে (Gopalpur) উঠতে হলে প্রয়োজন হবে অনুমতির।
আরো পড়ুন : খুলতে না খুলতেই সন্ত্রাসবাদী হামলা কপিলের রেস্তোরাঁয়! চলল ৯ রাউন্ড গুলি
কিন্তু কীভাবে যাবেন এখানে? হাওড়া থেকে রয়েছে ১২৭০৩ ফলকনামা এক্সপ্রেস, ১২৮৬৩ হাওড়া-যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস, ১২৮৩৯ চেন্নাই মেল। পুরী থেকে রয়েছে ১৮৪০১ পুরী-ওখা এক্সপ্রেস, ১২৮৪৩ পুরী-আহমেদাবাদ এক্সপ্রেস। এসে নামবেন বেরহামপুরে। সেখান থেকে গোপালপুর ১৬ কিমি। গোপালপুরে আসতে হলে ভাড়া করতে হবে গাড়ি।