বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৫ দিনের মধ্যেই খালি করতে হবে জমি। এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, অনুমোদিত দখলদার উচ্ছেদ আইন ১৯৭১ ধারা ৫ এর উপধারা ১এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেরানো হবে সেই জমি। নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের হুঁশিয়ারিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তরফে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবনে নোবেলজয়ী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিতর্কের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই নিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল তাকে। কিন্তু গতকাল অমর্ত্য সেন বা তার আইনজীবী গোঁরাচাদ চক্রবর্তী কেউই সেই শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় এবার কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত এবং হুঁশিয়ারি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসারের তরফে ৬ মে’র মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর ২০১ উত্তর-পশ্চিম কোণে অর্থাৎ এল আর প্লট নম্বর ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত দখল জমি খালি করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি খালি না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এবং এস্টেট অফিসারকে চিঠি দিয়ে অমর্ত্য সেন স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন, “শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়ী যা ১৯৪৩ সাল থেকে আমার পরিবারে দখলে এবং আমি নিয়মিত ব্যবহার করে আসছি। পারিবারিক ভিটে জমির ধারক আমি এবং এটি হস্তান্তর করা হয়েছিল। আমার বাবা আশুতোষ সেন এবং মা অমৃতা সেনের মৃত্যুর পরও দীর্ঘ ৮০ বছর জমির ব্যবহার একই রয়ে গিয়েছে। জমি হিজরার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ এই জমির অধিকার দাবি করতে পারে না। প্রশাসনকে তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।”
এরপরেও তার দাবি মানা না হলে আগামী জুন মাসে শান্তিনিকেতন ফিরে এসে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও জানান নোবেলজয়ী। দুদিন আগেই চিঠি পাঠিয়ে আলোচনার জন্য আরও তিন মাস সময় চাওয়া হলেও সেকথা না মেনে জমি উচ্ছেদের জন্য মাত্র ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতী পাল্টা জানায়, দখলদার উচ্ছেদ আইন ১৯৭১ সালের ১০ ধারায় বলা আছে যিনি হিজরাদাতা তিনি জমির মালিক। তিনি জমির স্থানান্তর, উত্তরাধিকারী উইল করতে পারবেন না। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর আজীবন সদস্যদের। যেহেতু অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর আজীবন সদস্য নন, তাই স্বীকৃতির কোনো প্রশ্ন নেই। যদিও চিঠি প্রসঙ্গে অমর্ত্য অথবা তার আইনজীবীর এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।