বাংলা হান্ট ডেস্ক : জিও র দৌড়ে পাল্লা দিতে গিয়ে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই জলের দরে ঘরের অফার বিক্রি করতে বসেছে। বিশেষ করে ভোডাফোনের মতো সংস্থা যেখানে কয়েক বছর আগে এক একটি নেট প্যাক রিচার্জ করতে গেলে দুই থেকে তিন শ টাকা অবধি লাগত তাও আবার বৈধতা মাত্র আঠাশ দিন তবে জিওর দৌড়ে প্রতিযোগিতায় নামতে গিয়ে এ বার কম দামে ঘরের অফার বিক্রি করার পাশাপাশি একাধিক সমস্যার জেরেই ভোডাফোন ও আইডিয়ার ত্রৈমাসিক মোবাইল পরিষেবার ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, শেষ ত্রৈমাসিক হিসেব অনুযায়ী ভোডাফোন ও আইডিয়া 50,922 কোটি টাকা ক্ষয় ক্ষতি করে ফেলেছে।
যদিও গত বছর এই ত্রৈমাসিকে তাদের লোকসানের পরিমাণ ছিল 4.973.8 কোটি টাকা। যদিও বা সরিক হিসেব করলে দেখা গিয়েছে এই দুই মোবাইল পরিষেবার তাই অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে কিন্তু যেহেতু এককালীন জরিমানা দিতে হচ্ছে আর তাতেই লোকসানের বহর বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক। হাজার কোটি টাকা জরিমানার জন্য এর আগে অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফে লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ বাবদ ভোডাফোন আইডিয়াকে আর যা স্টেড গ্রাস রেভিনিউ এর প্রায় উনত্রিশ হাজার কোটি টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভোডাফোন ও আইডিয়ার কপালে। সম্প্রতি একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে ভোডাফোন আইডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিইও রবীন্দ্র ধাক্কার বলেছেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি বকেয়া কর যদি কিছুটা ছাড় পাওয়া যায় সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করছেন। যেহেতু দুটি সংস্থা এক হয়েছে সে ক্ষেত্রে আয় অনেকটাই বেড়েছে। তাই তো ইতিমধ্যেই দিল্লি মধ্যপ্রদেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি চেন্নাইতে এক নম্বর নেটওয়ার্ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভোডাফোন আইডিয়া এমনটাই জানিয়েছেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রিলায়েন্স জিও কর্ণধার মুকেশ আম্বানি কে কিছুটা হলেও দুষেছেন, তিনি নাকি কোনও সংস্থা এগিয়ে যাক তা চান না, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন ভোডাফোন আইডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রিলায়েন্স জিও কর্ণধার এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে দুই সংস্থার কাছে সরকারের প্রাপ্য টাকা যেন পুরোপুরি আদায় করা হয় তাঁদের কর ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এয়ারটেল যেমন বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে পারবে ভোডাফোনও পারবে। ও ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন দুটি সংস্থায় বর্তমানে লোকসানে চলছে।