অভিষেকের দাওয়াইয়ে কাজ, সিতাইয়ে সুষ্ঠু ভাবেই মিটল ভোট! গণনার পর হবে পার্থী বাছাই

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটির কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)৷ সিতাইতে সভার পর সেই ভোটাভুটি নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ কার্যত মারমারির পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায়৷ সেই কারণেই তুফানগঞ্জের সভায় নতুন করে পরিকল্পনা তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)৷ কোনও রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতেই নতুন করে ব্যবস্থা নিয়েছে দল৷

তুফানগঞ্জের সভায় আগে থেকেই শুরু করে দেওয়া হয়েছে ভোটগ্রহণ করার প্রক্রিয়া৷ অর্থাৎ, অভিষেকের বক্তব্য দেওয়ার অনেক আগেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ করা হবে৷ সেখানেই প্রার্থী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হবে৷ তার পর সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আগামী ২ মাস ব্যপী চলবে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচি। কোচবিহার থেকে শুরু হয়ে সাগরে গিয়ে শেষ হবে এই যাত্রা। পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে নিজের মত জানাতে ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা করা হয়। সাধারণ মানুষ ব্যালট বক্সে নিজেদের মত জানাতে পারবেন। ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭-এই নম্বরে নিজের পছন্দ অনুযায়ী পঞ্চায়েতের তিন স্তরের প্রার্থীর নাম জানাতে পারবেন তাঁরা।

tmc 2

সাধারণ মানুষও এই অভিযোগ জানাতে পারেন। সঠিক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এই উদ্যোগ বলে মত অভিষেকের। ‘নবজোয়ার’-এর মঞ্চ থেকে এদিনও তিনি বিজেপিকে নিশানা করেন। একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেন। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়করা জনতার জন্য কোনও কাজই করছে না, ‘ফূর্তি’ করছেন বলে দাবি তাঁর। রাস্তা তৈরির টাকা আটকে রাখা হয়েছে, ফলে কাজ থমকে রয়েছে বলে কেন্দ্রের বিরোধিতা করেন তিনি। পাশাপাশি, কোচবিহারে রাজবংশী, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে বলেও দাবি করেন।

মঙ্গলবার প্রার্থী বাছাইয়ের মত জানাতে মারামারি, হুড়োহুড়ি এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে সভা করতে যান অভিষেক। তিনি সভাস্থল ছাড়তেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সবাই একসঙ্গে ভোট দিতে গেলে এক পক্ষ ব্যালট বক্স নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। অন্য পক্ষ ভোট দিতে না পেরে ব্যালট কাগজ ছিঁড়তে শুরু করে। এতেই মারামারি-হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি শুরু হয়।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর