বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিবাহিত অমিতাভকে ভালোবেসে বরাবর দুর্নামের শিকার হয়েছেন রেখা। জয়ার সংসারে অশান্তি ডেকে আনা, একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা সগর্বে স্বীকার করার জন্য কম অপমান সইতে হয়নি তাঁকে। তবে যে কারণে রেখা বদনাম, সেই একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন আরেক অভিনেত্রীও। তিনি ওয়াহিদা রহমান (Waheeda Rehman)। এক বিবাহিত পুরুষে আটকে ছিল তাঁর মনও। এমনকি সিনেমার সেটে তাঁকে অস্বস্তিতেও ফেলতেন অভিনেত্রী!
বিবাহিত অভিনেতার প্রেমে পড়েছিলেন ওয়াহিদা (Waheeda Rehman)
হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে নায়িকাদের মধ্যে একজন ওয়াহিদা রহমান (Waheeda Rehman)। তাঁর রূপ, অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ ছিলেন সহ অভিনেতা থেকে সিনেপ্রেমীরাও। তিনি ছিলেন অনেকের আকাঙ্খিত নারী। কিন্তু ওয়াহিদার (Waheeda Rehman) নিজের মনের মানুষটি কে ছিলেন? তিনিও ছিলেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক খ্যাতনামা অভিনেতা, তবে বিবাহিত। সেই অভিনেতা ছিলেন ধর্মেন্দ্র।
আরো পড়ুন : থাকতেন মেসে, খিদে মেটাত ফুটপাতের ঝালমুড়ি, ‘কলকাতার জামাই’ অমিতাভের প্রথম চাকরিও এ শহরে! জানতেন?
অপর দিক থেকেও ছিল আকর্ষণ
হ্যাঁ, বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর প্রতিই আকৃষ্ট হয়েছিলেন ওয়াহিদা (Waheeda Rehman)। উপরন্তু বিষয়টা এক তরফাও নয়, অপর দিক থেকেও ছিল সমান আকর্ষণ। এক রিয়েলিটি শো তে নিজের মুখেই একথা স্বীকার করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ‘চৌধভি কা চাঁদ’ ছবিটি দেখার পরেই নাকি ওয়াহিদার (Waheeda Rehman) রূপে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শুধু ধর্মেন্দ্র নন, ওই একই শোতে অভিনেত্রীও স্বীকার করেছিলেন, সে সময়ে তাঁর ‘ক্রাশ’ ছিলেন বলিউডের ‘হিম্যান’। পাশে বসে ধরম পুত্র সানি দেওল তখন মিটিমিটি হাসছেন।
আরো পড়ুন : স্বামীর কথায় তিন তিনবার গর্ভপাত! বিয়ের ১৬ বছর পর মা হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন ময়না
একসঙ্গে কাজও করেছিলেন তাঁরা
একসঙ্গে ৬ টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং ওয়াহিদা রহমান (Waheeda Rehman)। কিন্তু এক বার অভিনেতা ঠিক করেছিলেন আর কাজ করবেন না ওয়াহিদার সঙ্গে। সেটে নাকি তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলতেন তিনি। কেন? ওয়াহিদা (Waheeda Rehman) এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, একবার ধর্মেন্দ্র তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করতে তাঁর ভালো লাগে। কিন্তু আর একসঙ্গে কাজ করবেন না তিনি।
স্বাভাবিক ভাবেই ওয়াহিদা প্রশ্ন করেছিলেন, কেন? উত্তরে ধর্মেন্দ্র জানিয়েছিলেন, ওয়াহিদা খুবই পেশাদার। সঠিক সময়ে সেটে আসা, ঠিকঠাক সংলাপ বলার জন্য সুপরিচিত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্র ছিলেন উলটো। চূড়ান্ত অপেশাদার, উপরন্তু তাঁর মুখের ভাষাও সবসময় ঠিক ‘ভদ্র’ ছিল না। এমন ভাবমূর্তির জন্য বিভিন্ন ধরণের চরিত্র তিনি পেতেন ঠিকই, তবে ওয়াহিদার আশেপাশে অস্বস্তিতে পড়তেন ধর্মেন্দ্র।