বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত মঙ্গলবার কৃষি ভবনে ধর্ণায় বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা (Trinamool Congress)। সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের তুলে দেন দিল্লি পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ফাঁস হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখার পর রীতিমত তুলকালাম শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষ করে মহিলা সাংসদ মহুয়া মিত্রকে (Mahua Moitra) চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিওটি বড্ড চোখে লেগেছে সবার।
এইদিন ভিডিওটি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল তাকে বাঁকুড়া থেকে টিকিটও দিয়েছিল। যদিও ভোটে বিজেপিকে হারাতে পারেননি। তবে জিততে না পারলেও রাজনীতির সঙ্গে এখনও জুড়ে রয়েছেন সায়ন্তিকা। কিছুদিন আগেই রাজ্যে পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তাই তিনি যে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেনই সেইকথা বলাই বাহুল্য। এইদিন মহুয়াকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘কাপুরুষ বিজেপি-র কাছ থেকে এর থেকে বেশি কি আর আশা করা যেতে পারে! আপনি একজন মহিলার সঙ্গে কীভাবে এমন আচরণ করতে পারেন!! আপনি মণিপুরের মহিলাদের সঙ্গে এভাবে আচরণ করেছেন, এভাবেই আপনি @mamataofficial-এর সঙ্গে আচরণ করতে চেয়েছিলেন। আপনি আপনার মহিলা এমপির সঙ্গে একইভাবে আচরণ করলেন। সংসদে শুধুমাত্র মহিলাদের আসন সংরক্ষণই কি যথেষ্ট? আপনি যখন তাদের সঙ্গে আবর্জনা ব্যাগের মতো আচরণ করেন? এটা আসলে শোভিনিজমের প্রতিফলন যা আপনার মানসিকতায় গেঁথে আছে। #shameonyoubjp।’
চুপ করে বসে থাকেননি মহুয়া নিজেও। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এমনই আচরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করার জন্য সময় দিয়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করান আমাদের। তারপরও তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন। মোদী ও শাহের লজ্জা হওয়া উচিত।’
This is how elected MPs of the world’s largest democracy are treated after being given an appointment to meet with a Minister of the Govt of India (which she refused to honour after making us wait 3 hours)
Shame @narendramodi shame @AmitShah pic.twitter.com/cmx6ZzFxBu
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) October 3, 2023
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কাজের জায়গাতেও বেশ ঝামেলায় পড়েছেন সায়ন্তিকা। ঢালিউড অভিনেতা জায়েদ খানের বিপরীতে ‘ছায়াবাজ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে শ্যুটিং-র মাঝখান থেকেই ফিরে আসেন কলকাতায়। অভিযোগের তীর ওঠে ছবির প্রযোজকের দিকে। প্রযোজক মণিরুল ইসলামের অপেশাদারি আচরণের কারণেই নাকি অভিনেত্রীর এই সিদ্ধান্ত। এরপর নাকি ছবি থেকে সায়ন্তিকার নামটাই বাদ দিয়ে দেন ছবির প্রযোজক মণিরুল ইসলাম।