বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতিদিন হু হু করে গলছে বরফ। ক্রমশ বেড়ে চলেছে সমুদ্রের জল। মাত্র ১ বছরে ৫৩২ টন বরফ (ice) গলে গিয়েছে গ্রীনল্যান্ডের। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন বাড়ছে ৩০ লক্ষ টন সমুদ্রের জল (sea water)। এর অর্থ, প্রতি সেকেন্ডে ছ’টি করে অলিম্পিকের পুলের সমান জল বাড়ছে পৃথিবীতে।
এর আগে, NASA-র পাঠানো নয়া ছবিতে দেখা গিয়েছিল আন্টার্কটিকার বরফের চাদর প্রায় ২০% গলে গিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরেই এই বরফ গলছে বলে জানা যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর ৯ দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে এই অবস্থা হয়েছে আন্টার্কটিকার উত্তরে। আন্টার্কটিকার উত্তরের যে অঞ্চলগুলি কখনওই বরফের কারনে দেখা যায় না ৯ দিনের তাপপ্রবাহের তা উন্মুক্ত হয়েছিল। সমস্ত বরফ গলে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে আসছে স্বচ্ছ জল ধারা। চলতি মাসের শুরুর দিকে রেকর্ড উষ্ণতম দিনের সাক্ষী হয় আন্টার্কটিকা। তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৬৪.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। ওই দিন লস এঞ্জেলেসেও একই তাপমাত্রা ছিল।
বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’–এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, গত পাঁচ বছরে অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তর তিন গুণ বেশি গলেছে । হিসাব মতে, প্রতি বছর ২৪১ বিলিয়ন টন বরফ গলেছে আন্টার্কটিকায়। ফলে সারা সমুদ্রে বাড়ছে জলস্তর। অথচ, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকায় প্রতিবছর বরফ গলেছিল ৮৪ বিলিয়ন টন।
জানা যাচ্ছে শতকের শেষের দিকে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর ১৬ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে। মাত্র এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই ঈগল আইল্যান্ডের চূড়ার চার ইঞ্চি বরফের আস্তরণ গলে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে নাসা। যার কারন হিসেবে জানা যাচ্ছে ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা। ম্যাসাচুসেটসের নিকোলস কলেজের জিওলজিস্ট মৌরী পেলটো অবজারভেটরিকে জানিয়েছেন, ‘আন্টার্কটিকায় এত তাড়াতাড়ি গলে যাওয়া পুকুর কখনও এর আগে দেখিনি। এ ভাবে বরফ গলে যাওয়ার দৃশ্য আলাস্কা ও গ্রিনল্যান্ডে দেখা গেলেও তা কখনও হয়নি আন্টার্কটিকায়।’