বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শেষ হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি (Dearness Allowance)। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বিশেষ বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। মামলার রায় কোনদিকে যায় সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। এরই মধ্যে ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে বিস্ফোরক কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।
ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ বিকাশবাবুর | Bikash Ranjan Bhattacharya
বিকাশরঞ্জন বলেন, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার যে চাল দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। বাঁচার শেষ চেষ্টা করে ডিএ মামলাকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল রাজ্য। সেইমতো সওয়াল করা হচ্ছিল। তবে আদালত সেই সওয়াল গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে সংবাদমাধ্যমে বিকাশবাবু বলেন, ‘আমি বললাম এগুলো মূল্যহীন সওয়াল। আমি ওয়ার্থলেস শব্দটা ব্যবহার করিনি। কিন্তু বলেছি ভিত্তিহীন সওয়াল। আমার রাজ্যের ডিএ আমি পাব। সেখানে ছত্তিশগড় কী পাবে, সেটা নিয়ে আমার কীসের মাথাব্যথা?’
উল্লেখ্য, ডিএ মামলায় প্রথম থেকেই রাজ্যের যুক্তি ছিল, ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। এটা সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। আসলে গতকাল রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, ”কোনও আদালতই এআইসিপিআইয়ের হার মেনে ডিএ দেওয়ার জন্য কোনও রাজ্যকে বাধ্য করতে পারে না। যদি না রাজ্যের নিজস্ব নোটিফিকেশনে সেটার উল্লেখ থাকে।” তিনি বলেন, রাজ্যের কোনও নোটিফিকেশনে এআইসিপিআই মানার কোনও উল্লেখ নেই। সেই প্রসঙ্গেই একথা বলেন বিকাশরঞ্জন।
রাজ্যের আইনজীবী সিব্বলকে কটাক্ষ করে বিকাশ বলেন, ‘আসলে ওঁর লক্ষ্য ছিল যে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে গুলিয়ে দিলে তাদের সকলকে পার্টি করা হবে। প্রতিটি রাজ্যকে পার্টি করলে সব রাজ্যের শুনানি হতে হতে তো আমার মৃত্যু হয়ে যেত। সেই সওয়াল বিচারপতিরা গ্রাহ্য করেননি।’
আরও পড়ুন: আজ থেকে ফের ঝড়-বৃষ্টির ডবল ডোজ দক্ষিণবঙ্গে, কতদিন চলবে দুর্যোগ? আবহাওয়ার খবর
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট শুনানি শেষে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে। কারও কোনও বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে লিখিত আকারে তাঁদের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টে জানাতে হবে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীরা রাজ্যের জবাবের প্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য জানাবেন। তার তিন সপ্তাহ পর লিখিত জবাব দেখবে আদালত। তারপর ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা। মনে করা হচ্ছে অক্টোবরের শুরুতেই রায়দান করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।