কবে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা পাবেন ১৬ লক্ষ উপভোক্তা? নবান্ন থেকে জানালেন মমতা

Published on:

Published on:

Bangla Awas Yojana

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জোর কদমে চলছে বাংলার বাড়ি (Bangla Awas Yojana) নির্মাণের কাজ। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প নিয়েই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যার জেরে মুখে হাসি ফুটল লক্ষ লক্ষ উপভোক্তার।

আরও ১৬ লক্ষ করে দেব; আশ্বাস মমতার | Bangla Awas Yojana

নবান্নে থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে লাভবান উপভোক্তাদের হিসেব দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কেন্দ্র বন্ধ করে দিলেও ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ির টাকা দিয়ে দিয়েছি। আরও ১৬ লক্ষ করে দেব।” আগামী তিন চার বছরের মধ্যে সবটা করে দিতে পারব বলে উপভোক্তাদের আশা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, বর্ষার কারণে সময়ের আগেই এই প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া শুরু করে দিয়েছিল সরকার। উপভোক্তাদের চিন্তা দূর করে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই গত ২১ মে উত্তরবঙ্গে একটি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার বাংলার বাড়ির পাশাপাশি রাজ্যের কৃষকদের জন্য চালু করা প্রকল্প নিয়েও বড় আপডেট দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের বলব আপনারা যে টাকাটা পাবেন তা খুব শীঘ্রই দিতে শুরু করব।” বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্যবিমার টাকার বিষয়ে মমতা বলেন, “যাদের জমি জলের তলায় আছে আপনারা কেউ চিন্তা করবেন না। আপনারা বীমার টাকা পাবেন। এর জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়।”

আরও পড়ুন: বর্ষাকাল একেবারে জমে যাবে! বাড়িতে এইভাবে রাঁধুন ইলিশের এই পদটি, রইল রেসিপি

প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। বহু আর্জি, চিঠি, হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় নিজের কোষাগার থেকেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তাদের মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। দুই কিস্তিতে উপভোক্তারা টাকা পান।