বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে ২০২৫। একটা বছর পেরিয়ে গেল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শেষবার ডিএ (Dearness Allowance) মামলা উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। তারপর থেকে আর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে মামলার শুনানি হয়নি। তার আগেও বহুবার পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। যার জেরে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ।
নতুন বছর পড়তেই নতুন আশা নিয়ে দিন গুনছেন সরকারি কর্মীরা। জানিয়ে রাখি, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ। আপাতত সকলের নজর সেই দিকে। শীতকালীন ছুটির পর আগামী ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট খুলছে। তারপরের দিন বাংলার ডিএ মামলার শুনানি।
এই শুনানির দিন নির্ধারণ করেছিলেন জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস এস ভাট্টি। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ডিএ মামলার বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। এবারে ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উঠতে চলেছে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ব্যাবধান দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া।
উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: না জানিয়ে প্রাথমিকে সেমিস্টার! শিক্ষামন্ত্রীকে ধমক দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।