বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবারই ২০২৩ টেট (Primary TET) পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। আগামী ১০ ডিসেম্বর নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা। আর এরই মধ্যে চলতি বছরের টেট নিয়ে বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। টেট পরীক্ষা পিছু রাজ্য সরকারের লাভ হয় কয়েক কোটি টাকা। ঠিক এই অভিযোগ তুলেই সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।
এদিন নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, ‘মনে হচ্ছে টেটের নামে টাকা তোলার দারুণ ফন্দি খুঁজে পেয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ কাউকেই নিয়োগ করা হবে না। সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করেছেন, ১০ ডিসেম্বর টেট নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এও বলেছেন, নিয়োগ না হলেও প্রতিবছর টেট হবে।’
আরও পড়ুন: ED-র প্রধান হিসেবে মেয়াদ শেষ সঞ্জয়ের! নতুন দায়িত্বে এলেন এই IRS অফিসার
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু লেখেন,’২০২২ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল ৫ বছর পরে। সেই সময় প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর ১ লক্ষ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। যদিও কারোরই এখনও নিয়োগ হয়নি।’
https://x.com/SuvenduWB/status/1702616315561984050?s=20
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! কলকাতার পুর অধিবেশনেই TMC-BJP কাউন্সিলরদের তুমুল মারপিট, গালাগালি
শুভেন্দু আরও লিখেছেন,’সাধারণ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ নেওয়া হয় ৫০০ টাকা। অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতিকে দিতে হবে ২৫০ টাকা। তফশিলী জাতি ও উপজাতিদের জন্য পরীক্ষার ফি দিতে হয় না।’
শুভেন্দুর হিসাব, ‘৪০০ টাকা করে ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর থেকে যদি নেওয়া হয় তাহলে, ৭,০০,০০০*৪০০= ২৮,০০,০০,০০০। পরীক্ষার নামে প্রায় ২৮ কোটি টাকা তুলবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা আয়োজন বাবদ খরচ হবে ৩ কোটি। সবমিলিয়ে নিট লাভ ২৫ কোটি টাকা।’ প্রসঙ্গত এর আগেও একটি সভা থেকে এই একই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।