বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে আর এক মাস-ও সময় নেই। আগামী মাস থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেবেন রাজ্যের পড়ুয়ারা। তাই এই মুহূর্তে সেই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মাধ্যমিক পরীক্ষাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য জারি করা হয়েছে একাধিক নতুন নির্দেশিকা।
মাধ্যমিক (Madhyamik) শুরুর আগেই বড় খবর দিল পর্ষদ
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। তাই মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষাকে আরও ভালো ভাবে পরিচালনা করার জন্য এবার জেলাস্তরে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য সরকারি স্তরের দশটি বিভাগকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কারা থাকছেন এই কমিটিতে?
সূত্রের খবর এই কমিটিতে থাকছেন প্রত্যেক জেলাভিত্তিক সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ কমিশনার। শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করার জন্য রাখা হচ্ছে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও এই কমিটিতে আরও অনেকেই থাকবেন। ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার, জেলাভিত্তিক স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও থাকবেন এই কমিটিতে। রাখা হচ্ছে রিজিয়োন্যাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার, রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা সুষ্ঠু রাখার জন্য উপস্থিতি থাকবেন জেলার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন: RG Kar-এর ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ মনে হয়নি বিচারকের, জানেন কে এই জাস্টিস অনির্বাণ দাস?
উপস্থিত থাকছেন, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ, জেলা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান,এবং ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টরাও। এই কমিটিতে উপস্থিত থাকবেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দ্বারা মনোনিত ডিস্ট্রিক্ট কনভেনরাও। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনেই স্কুল শিক্ষা দফতর এই কমিটি তৈরি করছে। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা পরিচালনার জন্য তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি গুলি হল, ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটি (ডিএনএসি), ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (ইআরটি) এবং ডিস্ট্রিক্ট মনিটারিং টিম (ডিএমটি)।
ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং টিমের কাজ হল পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত কাজ হয়েছে কিনা তা যাচাই করা। আগে প্রত্যেক জেলার সাব ডিভিশন অনুযায়ী এই সদস্য সংখ্যা ছিল একজন করে।এই বছর থেকে তা বাড়িয়ে দুজন করা হয়েছে।