বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন বা SIR যেভাবে করা হয়েছে, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠল। এই প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠাল WBCS এগজ়িকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের দাবি, আইন মেনে এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের যুক্ত না করেই একাধিক ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
কী অভিযোগ তুলল WBCS অ্যাসোসিয়েশন?
চিঠিতে WBCS অ্যাসোসিয়েশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রাজ্যে যে ভাবে SIR করা হয়েছে, তা নিয়ে তাঁরা গভীর অসন্তুষ্ট। অভিযোগ, নির্বাচনী আইন ভেঙে এবং ERO-দের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই ইচ্ছেমতো পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি খসড়া ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াতেও আপত্তি জানিয়েছে সংগঠনটি।
খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে একাধিক অভিযোগ
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই নানা জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। কোথাও জীবিত ভোটারকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও ভোটার ওই এলাকাতেই থাকলেও, অন্যত্র চলে গিয়েছেন দেখিয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে WBCS এগজ়িকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
কী বলা হয়েছে চিঠিতে?
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ERO-দের একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে। যাঁর নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাব থাকে, তাঁর বক্তব্য শোনার সুযোগ দেওয়াও ERO-দের দায়িত্ব। কিন্তু অভিযোগ, এই পুরো প্রক্রিয়াতেই সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
যে সিস্টেমে নাম বাদ, সেখানে ERO-রা ছিলেন না
অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, যে সিস্টেমের মাধ্যমে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কাজ হয়েছে, সেখানে ERO-দের যুক্তই করা হয়নি। ফলে বহু ক্ষেত্রে নাম বাদ গিয়েছে, যা আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়া মানা হলে হয়তো হত না। অভিযোগ আরও গুরুতর—এই সব সিদ্ধান্ত একেবারে ERO-দের অন্ধকারে রেখেই নেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, নাম বাদ যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন এবং সেই ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে ERO-দের উপরেই। অথচ পুরো প্রক্রিয়ায় তাঁদের কোনও ভূমিকা ছিল না বলেই দাবি করা হয়েছে।
চূড়ান্ত যে ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে, তাতে ERO-দের সই ও সিলমোহর থাকবে। তাই অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আবেদন করা হয়েছে, এমন ব্যবস্থা নেওয়া হোক যাতে ERO-রা নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সঠিকভাবে ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় বড় বিনিয়োগ রেলের! দেউলটি ব্রিজে ১৩০ কিমি গতিতে ছুটবে ট্রেন, কত টাকা বরাদ্দ?
উল্লেখ্য, SIR-এর শুনানি পর্বের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকছে WBCS অফিসারদের উপরেই। এই কাজে কোনও সমস্যা হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবদিহি করতে হতে পারে বলেও আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার WBCS এগজ়িকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR সংক্রান্ত এই আবহে ওই বৈঠকে অফিসারদের আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সমস্ত অফিসারদের পাশেই












