বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘প্রাইভেট কোম্পানিতে ছোটখাটো কাজ করেন বা বেকার হয়ে বাড়িতে বসে আছেন, এমন কেউ প্লিজ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না।’ সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এই পোস্টটি ঝড়ের গতিতে শেয়ার হচ্ছে। যদিও এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিতর্কের কারণ এই পোস্টটি করেছেন একজন ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর।
প্রসূন কুমার চট্টোপাধ্যায় বাঁকুড়ার ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর। প্রসূন কুমার চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এই পোস্টটি করেন। এমনকি এই পোষ্টের স্বপক্ষে তিনি একের পর এক যুক্তিও দিতে থাকেন। পাশাপাশি তিনি অপমান করেন অধস্তন মহিলা অফিসারকেও। এই বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
আরোও পড়ুন : সময় লাগল মাত্র ৩-৪ দিন! এক্কেবারে টাইট ‘মলদ্বীপ’, মোদিকে অপমানের ফল বুঝিয়ে ছাড়ল
এরপর চাপে পড়ে প্রসূন কুমার চট্টোপাধ্যায় পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হন। সমাজ মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারী প্রসূন কুমার চট্টোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যকে মোটেও ভালো চোখে নেননি। পরে একটি সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রসূন কুমার চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘কার রিকোয়েস্ট আমি গ্রহণ করব সেটা আমার নিজস্ব ব্যাপার। এটা আমি লিখতেই পারি। আপনার (প্রতিবেদকের) পরামর্শ নিতে আমি চাই না।’
যদিও তীব্র বিতর্কের মুখে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন প্রসূন কুমার চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সকালে তিনি যে বিতর্কিত পোস্টটি করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইলেন তিনি। তবে এক্ষেত্রেও তার ‘ঔদ্ধত্য’ প্রকাশ পেয়েছে। ক্ষমা চাওয়ার সাথে সাথে প্রসূন কুমার সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘সরকারি চাকরি যাঁরা পাননি তাঁদের কয়েকজনের সরকারি চাকুরিজীবীদের প্রতি আক্রোশ রয়েছে। হিংসে নয়, চেষ্টা করুন।’
সমাজ মাধ্যমে প্রসূন কুমার চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কাল আমি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলাম। যেখানে আমি বলেছিলাম যে বা যাঁরা ছোটখাটো প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেন বা বেকার হয়ে বসে আছেন তাঁরা আমাকে প্লিজ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। এই পোস্ট করে আমি প্রাইভেট সেক্টর, ছোট কাজ করেন বা কোনও কারণে চাকরি পাননি, তাঁদেরকে ছোট করতে বা দুঃখ দিতে চাইনি। তা সত্ত্বেও যদি কেউ ভাবেন আমি তাঁকে কষ্ট দিয়েছি তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এটা নিয়ে মিডিয়ার অহেতুক অ্যাক্টিভিটি কাম্য নয়।’