বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের দামামা বাজতেই নির্বাচনী প্রচারে কোমর বেঁধে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের হয়ে সেই সব নির্বাচনী প্রচারে নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। সেই মত বঙ্গে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিস্ত শাহ একাধিকবার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গে এবার ২০০-র বেশি সিট নিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। অন্যদিকে থেমে না থেকে বিজেপিকে পাল্টা দিয়ে মৌখিক ভাবে একটি আসনও ছাড়তে নারাজ তৃণমূল।
শাসকদলের তরফে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন রাজ্যে প্রথম তিন দফার ৯১ টি আসনের মধ্যে ৯০ টিতেই জয়লাভ করছে তৃণমূল। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনের ‘হটস্পট’ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে জয়ের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী বিজেপি (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা একাধিকবার জনসভা থেকে দাবি করে এসেছেন, ‘নন্দীগ্রামে বিজেপির জয় নিশ্চিত’। তবে এদিন সেই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে দাবি করেছেন, ‘আমরা বাংলা জয় করছি, আমরা নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যেই জিতে গেছি’। এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ টুইট খোঁচায় জানালেন ,’যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখানে প্রার্থী হয়েছেন তিনিও হারবেন’। উল্লেখ্য, একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির।
https://twitter.com/derekobrienmp/status/1380350945452756992?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1380350945452756992%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fd-584031918714889235.ampproject.net%2F2103261048002%2Fframe.html
উল্লেখ্য, রাত পোহালেই রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন, তার আগেই শুক্রবার সাতসকালে ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শনিবারই ভোট রয়েছে টালিগঞ্জে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) এবং তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই হাইভোল্টেজ লড়াইকে সামনে রেখে তৃণমূল মুখপত্রের (Derek O’Brien) এদিনের টুইট রাজনৈতিক চর্চায় অন্য মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, ২৪ ঘণ্টা বাদেই রাজ্যে ভোট চতুর্থী। তার আগে আরও আঁটসাঁট কমিশন। নিশ্ছিদ্র প্রস্তুতি সারতে ইতিমধ্যেই শহরে মোতায়েন হল ১০২ কোম্পানি আধাসেনা। আগামীকাল রাজ্যে কলকাতা পুলিশের আওতায় ভোট গ্রহণ। বেহালা, মেতিয়াবুরুজ ও দক্ষিণ শহরতলির একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট (4th Phase WB Assembly Poll)। সেখানে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে অবাধ ভোট দিতে পারে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুলিশ কমিশনের তরফে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা