বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে কাঠগড়ায় শাসকদল। শাসকদলের নেতা শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুরিভুরি। যদিও গত শনিবার সন্দেশখালি পরিদর্শনের পর মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick) বলেন, ‘শেখ শাহজাহানের নামে তো কোনও অভিযোগ নেই। কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।’ আর এবার মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিষ্ফোরক দ্বীপাঞ্চলের মানুষজন।
গত শনিবারই সন্দেশখালির পরিভ্রমণের পর মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়েছিলেন, তিনি এলাকার মানুষজনের সাথে কথা বলেছিলেন। এলাকায় সবকিছুই ঠিকঠাক আছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। আর এবার সন্দেশখালির মহিলারা জানালেন, “মন্ত্রীরা তো এলেন, ওখান থেকেই ঢাক বাজিয়ে চলে গেলেন, এখানে এলেন কই!”
সূত্রের খবর, এবার বেড়মজুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ঝুপখালির মহিলারা। হাতে লেখা ডেপুটেশন নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তারা। বিক্ষোভরত মহিলাদের বাধা দেয় পুলিশ। তখনই তারা জানায়, আবাস যোজনার ঘর থেকে শুরু করে জব কার্ডের জন্যেও তাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি অবধি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘৩৬ মানে থার্টিফোর’ অতীত! নুসরতের নয়া বচন ‘১৭৪ ধারা’! সন্দেশখালি ইস্যুতে বিপাকে অভিনেত্রী
স্থানীয়দের অভিযোগ, আবাসের ঘরের জন্য কারও কাছে ১৫ তো কারও কাছে আবার ২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। জব কার্ডের জন্যেও দিতে হয়েছে ১০ হাজার। মহিলাদের অভিযোগ, ‘আমাদের ঘর ভেঙে দেবে বলেছে বুলডোজার দিয়ে, আমাদের বুথে এসে জোর করে ভোট নিয়ে নেয়। স্বামীদের ধমকায়।’ তো কেউ আবার ভয় পাচ্ছেন সন্তানদের নিয়ে। তাদেরকেও নাকি মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : চার বছরে ৪২টি মামলা, তবুও নেই পলাতক তকমা! শাহজাহান কেসে রাজ্য পুলিশের পর্দা ফাঁস
এরপরেই বিক্ষোভকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়, মন্ত্রীরা যেদিন এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন সেদিন কেন এইসব কথা জানানো হয়নি তাদের? জবাবে তারা যা বললেন তা সত্যিই অবাক করার মত। মহিলাদের কথায়, ‘আমরা তো বলব বলে তো দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু এখানে তো আসেননি। ঢোল বাজিয়ে ভয়ে ওদিক থেকেই চলে গেলেন, এদিকে তো এলেন না।’ তাদের বিক্ষোভ দেখাতে মানা করা হলে মহিলারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, পুলিশের উপর তাদের আর কোনও ভরসা নেই।