‘বাংলাতেও অনেক মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে! সেগুলি ফিরিয়ে আনবই’, হুঙ্কার বঙ্গীয় হিন্দু সেনার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের (Hindus of West Bengal) অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর দাবি বাংলার বুকে সংখ্যাগুরু হয়েও বারবার নির্যাতিত হচ্ছেন হিন্দু সম্প্রদায়। ধ্বংস করা হচ্ছে হিন্দু স্থাপত্যকেও। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) পর কে হবেন বিজেপির মূল চালিকাশক্তি? এ রকম একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বাংলা হান্টের প্রতিষ্ঠা দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে নিজের মতামত রাখলেন বঙ্গীয় হিন্দু সেনার প্রতিষ্ঠাতা অম্বিকানন্দ মহারাজ (Ambikananda Maharaj)।

কী বললেন তিনি? নিজের মন্তব্যের শুরুতেই অম্বিকানন্দ মহারাজ টেনে আনেন মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘১৯৬৬ সালে মহারাষ্ট্রের অস্মিতাকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন করেছিলেন স্বর্গীয় বালা সাহেব ঠাকরে। আজ বাংলার একই অবস্থা। বাঙালি হিন্দুর ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্যই বঙ্গীয় হিন্দু সেনা। পার্থক্য একটাই, বঙ্গীয় হিন্দু সেনা সম্পূর্ণ ভাবে অরাজনৈতিক একটি সংগঠন।’ সঞ্চালক প্রশ্ন করেন এই সংগঠন রাজনৈতিক রূপ নিতে কত সময় লাগবে? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা না হয় সময়ের উপর ছেড়ে দেওয়া যাক।’

এরপরই অম্বিকানন্দের কথায় উঠে আসে বাংলায় হিন্দুদের বর্তমান অবস্থা। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় যে শিক্ষা পেয়েছি সেটা মূলত বামপন্থী শিক্ষা। সেখানে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। সত্যিকে তুলে ধরা হয়নি। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে নিজেদের ধর্মকে ভুলতে শেখানো হয়েছে।’ উদাহরণ হিসাবে তিনি টেনে আনেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রসঙ্গ৷ তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান মঞ্চ হিন্দুদের একাধিক পুজোর বিরোধিতা করে। কিন্তু খ্রিস্টান বা ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে কোনও কথা বলে না।’

hindu

এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় মোদিকে কি তিনি হিন্দু হৃদয় সম্রাট বলে মানেন? এর উত্তরে অম্বিকানন্দ মহারাজ বলেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সার্বভৌম ভাবে নরেন্দ্র মোদি যা করেছেন তাতে হিন্দু হৃদয় সম্রাট বলা যাবে কিনা জানি না, তবে হিন্দুত্ববাদী একজন নেতা বলতেই পারি।’ মোদির উত্তরসূরী কে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মোদির পরে নাম আসবে যোগি আদিত্যানাথ। যোগিকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনিই যোগ্য। হিন্দু হৃদয় সম্রাট যোগি আদিত্যানাথ।’

তবে এত কথার মধ্যে খুব কৌশলে এড়িয়ে যান কাশি এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি বিচারাধীন। সেভাবেই থাকুক। এই বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে এটুকু বলতে পারি, কাশি মথুরার মতই আমাদের বাংলাতেও এমন অনেক স্থান রয়েছে যেগুলো ধ্বংস করে অন্য স্থাপত্য তৈরি করা হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ত্রিবেণীর জাফর খাঁ গাজি দরগা। যেটি একটি বিষ্ণু মন্দির ছিল।’ এই স্থাপত্যগুলিকে আবারও ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে রাখলেন অম্বিকানন্দ মহারাজ।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর