বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুই দিন আগেই প্রবল বজ্রপাতে একই দিনে বিহারে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এবার নতুন করে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর (weather office)। বিহারের বেশ কিছু অংশে আবার অতিভারী বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে সেখানকার নদীগুলিও। পাশাপাশি, বাংলা ও আসামেও প্রবল বৃষ্টির কারনে ফুঁসছে নদীগুলি। যে কোনো মুহুর্তে ভাসতে পারে উত্তরবঙ্গ ও আসাম।
আগামী ২ দিন বিহারের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি ও বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। জানা যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে ১০০ মিলিমিটারের বেশী বৃষ্টি হতে পারে। ইতি মধ্যে ২২ বছরে বৃষ্টির রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে বিহারে। রাজ্যে এখনও অবধি ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷ এই অতি ভারী বৃষ্টির জেরেই ইতিমধ্যেই ফুঁসছে উত্তর বিহারের নদীগুলি। জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। পশ্চিম ও মধ্য বিহারেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে ৷
পাশাপাশি, গত কয়েকদিনে উত্তর এর জেলা গুলিতে অতিভারী বৃষ্টি হওয়ায় ইতিমধ্যে ফুঁসছে তিস্তা সহ অন্য নদীগুলি। মরশুমের শুরু থেকেই বর্ষা যেভাবে দাপিয়ে খেলছে তাতে বন্যার ভ্রুকুটি উপেক্ষা করতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে তিস্তা নদীতে।ওড়িশায় ঘূর্ণাবর্ত এবং দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাতে জলীয় বাস্প ঢুকছে রাজ্যে। তবে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেরও বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি চলবে সপ্তাহভোর।
পাশাপাশি, আবারো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে আসামে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বন্যায় ভাসাতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
এবার সঠিক সময়েই ঢুকেছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের জলের গভীরতা ৪৯ মিটারের বেশী। যা বিপদসীমার থেকে ১ মিটার বেশী বলেই জানা যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যে বাংলা সহ উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। যার জেরে যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বইতে শুরু করবে ব্রহ্মপুত্র নদ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।