বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার মহামারীর মাঝেই ৩৬১ বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিল ব্রিটেনের তাপমাত্রা। ৩৬১ বছরের মধ্যে এপ্রিল মাসে প্রথম বার এত গরম পড়ছে ব্রিটেনে। ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে, সোমবার পশ্চিম লন্ডনের হিথ্রো এবং নর্থোল্ট তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে তীব্র গরমের দাবদাহ এড়ানোর জন্য বাসা থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটেনের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইউরোপে হিটওয়েভের ঘটনা বেড়েছে। দেশের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা তাপমাত্রা ৪২-৪৩ সেন্টিগ্রেডে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভারতে উত্তাপটি গত দশ বছরের রেকর্ড ভাঙার কাছাকাছি। মার্চ মাস ভারতের 10 বছরের মধ্যে গরম সবচেয়ে কম দাপট দেখিয়েছে। এপ্রিলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি পৌঁছানোর আশা করছে না আবহাওয়া দপ্তর।
এবছর ভারতে মৌসুমি বায়ু স্বাভাবিক আগমন তারিখের একদিন আগে 31 মে কেরালায় আঘাত হানতে পারে। যদি এই পূর্বাভাস সত্যি হয় তাহলে এবছর নিয়ে টানা দুবছরের ওপর বর্ষাকাল ভারতে “স্বাভাবিকের চেয়ে উপরে” থাকবে।
এর আগে এবছর চূড়ান্ত গরমের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। ২০২০ সালে মার্চ থেকে মে অবধি এই তিন মাসের তাপমাত্রা গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ০.৫ থেকে ১ ডিগ্রী বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম দিকের বেশ কয়েকটি জেলায়ও গরম বাড়তে পারে। পুরুলিয়া (Purulia), বাঁকুড়া (Bankura), বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাগুলিতে গরম পড়বে। আবার বেশকিছু জায়গায় যেমন হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), উত্তরাখণ্ড, পশ্চিম রাজস্থান ও অরুণাচল প্রদেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বাড়বে।
আঞ্চলিক পূর্বাভাস ইউনিটের প্রধান ডক্টর কুলদীপ শ্রীবাস্তব জানান, এই বছর তাপের প্রভাব তুলনামূলকভাবে সমভূমি এবং পার্বত্য অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও পশ্চিম রাজস্থানে তিন মাসের মধ্যে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যেতে পারে।