বাংলাহান্ট ডেস্ক / আবহাওয়া : আজ দুপুর থেকেই দক্ষিণ ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুপুর একটা নাগাদ ঝাড়গ্রামে হঠাৎই ধারাবাহিক বজ্রপাতে ৫ জন মারা গিয়েছে, আহত ২২। জানা যাচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই সেই সময় মাঠের কাজে ব্যস্ত ছিল।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েকদিন। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি-এনসিআর, বিহার, পশ্চিম উত্তর প্রদেশেও বাড়বে বৃষ্টি।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরা এবং আসাম ও মেঘালয় জুড়ে প্রবল বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের ফলে আসামের বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ৩৩ জেলার মধ্যে 27 জেলার ৩৯.৮ লক্ষাধিক মানুষ বন্যা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
দিল্লী আর আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রবিবার দিল্লী-এনসিআর এলাকায় বৃষ্টি হয়। এরফলে দিল্লীবাসি গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পান। দিল্লীর অনেক একালায় মুশলধার বৃষ্টি হয়। এরফলে মিন্টো রোড এলাকার আন্ডারপাসে জল জমে যায়। জল এতটাই জমে যায় যে, সেখান দিয়ে যাওয়া DTC এর একটি বাস জলে ডুবে যায়। জলে ডুবে যাওয়ার কারণে বাসে থাকা যাত্রীরা ছাদে উঠে পড়েন। আর সেখান থেকে সিঁড়ির মাধ্যমে তাঁদের সুরক্ষিত উদ্ধার করা হয়
হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও এই মুহুর্তে শহর কলকাতায় কমবে না আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি, এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। সকাল থেকেই কলকাতা শহরে ঝলমলে রোদ দেখা যাচ্ছে। কখনও রোদের ছটা, তো সঙ্গে সঙ্গেই আবার কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে আকাশ।
সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা শহরে মেঘলা আকাশ বিরাজ করছে। কিন্তু তাঁর সাথে রয়েছে আদ্রতা জনিত অস্বস্তিও। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।