উপনির্বাচনেও প্রার্থী না-পসন্দ! হঠাৎ পদত্যাগ করলেন BJP নেতা, তোলপাড় রাজ্য

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ১০ জুলাই বাংলার ৪টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন (West Bengal Assembly By Election)। মানিকতলা, বাগদা, রায়গঞ্জ এবং রানাঘাট দক্ষিণে ভোট রয়েছে সেদিন। সম্প্রতি চার কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে BJP। আর তারপরেই শিরোনামে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবিরের ‘কোন্দল’।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) আশানুরূপ ফল করতে পারেনি BJP। বঙ্গে ভরাডুবির পর তা নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া। প্রার্থী নির্বাচন এবং কেন্দ্র বদল নিয়েও উষ্মা শোনা গিয়েছে অনেকের গলায়। এবার উপনির্বাচনের আগেও দেখা যাচ্ছে সেই দৃশ্য! বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর সরব হয়েছে দলেরই একাংশ।

বাগদা (Bagdah) আসনে যেমন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রথমে উঠে এসেছিল BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সহধর্মিনী সোমা ঠাকুরের নাম। তা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভের সুর শোনা যায় দলীয় কর্মীদের একাংশের গলায়। পদ্ম শিবিরের এক কর্মী বলেন, আমরা বাগদায় বহিরাগত প্রার্থী চাই না। তা সে শান্তনু হোক বা নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুনঃ DA অতীত! এবার এক ধাক্কায় বাড়বে সরকারি কর্মীদের বেতন! ভোট মিটতেই বিরাট আপডেট

বাগদায় দাঁড়াননি সোমা। বরং বিনয় বিশ্বাসকে টিকিট দিয়েছে BJP। কিন্তু তাতেও খুশি নয় দলের একাংশ। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ফের ক্ষোভের হাওয়া বইতে শুরু করেছে বলে খবর। দলীয় পদে ইস্তফা দিয়েছেন বাগদা ২ নং মণ্ডলের সভাপতি সমীর বিশ্বাস। তবে কনিয়াড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ থেকে কিন্তু সরেননি তিনি।

পদত্যাগের পর BJP নেতা বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব এবং দলের জেলা সভাপতিকে ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখানে জানিয়েছেন, বাগদায় বহিরাগত বিনয় বিশ্বাসকে দাঁড় করানো হয়েছে। তাই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এদিকে গতকাল বাগদার প্রার্থী হিসেবে বিনয়ের নাম ঘোষণা হতেই গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের একাংশকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। ‘বহিরাগত প্রার্থী চাই না’ বলে স্লোগানও উঠতে থাকে।

bjp flag

অন্যদিকে রায়গঞ্জের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সমাজমাধ্যমে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন BJP নেতা বাসুদেব সরকার। উত্তর দিনাজপুর জেলা BJP সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। BJP নেতা জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। বাসুদেব জানান, ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর