বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে পদ্ম শিবির। এরপর উপনির্বাচনেও তেমন চমকপ্রদ ফলাফল করতে ব্যর্থ। এখন আবার আরজি করের আন্দোলনে বামেরা টেক্কা দিয়েছে বিজেপিকে (BJP)! এই আবহে আগামী নভেম্বর মাসে রাজ্যে উপনির্বাচন। নৈহাটি, হাড়োয়া সহ বাংলার ৬টি আসনে ভোট রয়েছে। এবার কোন কেন্দ্রে কাকে টিকিট দেবে গেরুয়া শিবির, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
বিধানসভা উপনির্বাচনে কাদের টিকিট দিতে পারে বিজেপি (BJP)?
নৈহাটি, মাদারিহাট, তালড্যাংরা, হাড়োয়া, সিতাই এবং মেদিনীপুরে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন (Assembly By Elections) রয়েছে। একুশের বিধানসভা ভোটে মাদারিহাট বাদে বাকি প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বাজিমাত করেছিল তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, এবারও এই আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। সেই সঙ্গেই অন্য কোনও আসনেও যদি পদ্ম ফোটানো যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
মঙ্গলবার বিজেপির সল্টলেক অফিসে একটি বৈঠক হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya), মঙ্গল পাণ্ডে, সুনীল বনসলের পাশাপাশি রাজ্য সাধারণ সম্পাদকরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে স্থির হয়েছে নৈহাটি এবং মেদিনীপুরে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। সেই সঙ্গেই অন্যান্য কেন্দ্রগুলির কথা ভুলে গেলেও চলবে না। মাদারিহাট ধরে রাখার পাশাপাশি আরও একটি আসন ছিনিয়ে নিতে মরিয়া বিজেপি। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এমনটাই।
আরও পড়ুনঃ ৭ টাকা জমিয়েই বাজিমাত! মাসে মাসে মিলবে মোটা টাকা পেনশন! ধামাকা প্রকল্প সরকারের
জানা যাচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি (BJP) টিকিট দিতে পারে চব্বিশের লোকসভা ভোটে পরাজিত হওয়া প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং এবং নিশীথ প্রামাণিককে। দিলীপকে মেদিনীপুর, অর্জুনকে নৈহাটি এবং নিশীথকে সিতাই থেকে দাঁড় করানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।
এদিকে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উত্তর আফ্রিকা সফরে রয়েছেন। আগামী ২১ নভেম্বর তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। তার তিনদিনের মাথাতেই রাজ্যের আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah)। জানা যাচ্ছে, দলের বাছাই করা নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠক করতে পারেন তিনি। তার মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে দলের সদস্যতা অভিযানের সূচনা করার কথাও রয়েছে বলে খবর।
রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় আসার পর ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রার্থীদের নাম নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করবে রাজ্য বিজেপি (BJP)। এরপরেই প্রার্থীদের নামের ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।