বাংলা হান্ট ডেস্ক : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে লাফিয়ে বাড়ছে শাক-সব্জির দাম। দুর্গাপুজোর পর থেকে দানা ঝড়ের আশঙ্কায় ছুঁলেই আগুন শাক-সব্জী। বিশেষ করে আলু কিনতে গেলেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। ভরা উৎসবের মরশুমে দিনের পর দিন এইভাবে শাক-সব্জির দাম বাড়তে থাকলে তা চাপ ফেলবে মধ্যবিত্তের পকেটে।
আলুর দাম কমাতে নবান্ন (Nabanna) থেকে মুখ্যসচিবের কড়া নির্দেশ
এইভাবে চলতে থাকলে না খেয়েই মরতে হবে প্রায়! এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্য সচিব গতকাল সন্ধ্যায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বৈঠক ডেকেছিলেন নবান্নে (Nabanna)। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant) ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার–সহ নানা দফতরের অফিসার, পুলিশ কর্তাসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও জেলাশাসকরা যোগ দিয়েছিলেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে ।
রাত পোহালেই কালীপুজো তারপরেই আসছে ভাইফোঁটা। কিন্তু কিছুতেই কমছে না আলুর দাম (Potato Price)। কিন্তু এইভাবে তো চলতে পারে না। তাই জনসাধারণের কথা ভেবেই উৎসবের দিনে অবিলম্বে শাক-সব্জির দাম কমাতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্য সচিব। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই আলুর দাম কমানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন : স্তব্ধ বুধের ব্যস্ত শহর! ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে, রক্তারক্তি কাণ্ড
জানা যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্যই হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই এবার থেকে হিমঘরে আলু রাখার যে সময়সীমা রয়েছে সেই সময় সীমা পর্যন্তই আলু রাখা যাবে। তাই সমস্ত ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩০ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ের পর হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা হবে না। এই সময়ের মধ্যেই সব আলু বের করে নিতে হবে।
শুধু তাই নয় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে কালীপুজো–ভাই ফোঁটার সময়েও প্রত্যেক বাজারে গিয়ে নিয়ম করে টাস্ক ফোর্সকে অভিযান চালাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এছাড়াও খুচরো বাজারের কালোবাজারি রুখতে রাজ্য পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর এদিনের বৈঠকে সমস্ত ধরনের আলুর দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জ্যোতি আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতার খুচরো বাজারে জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। যা কদিন ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।