বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছরের শুরুতেই WBCS এবং WBPS পরীক্ষা নিয়ে বড়সড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইদিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখার পর তিনি আসেন রাজ্যের পরীক্ষার বিষয়ে। আর সেখানেই আঞ্চলিক ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পড়ুয়া মহলের একাংশের দাবি মেনে তিনি জানান, ‘WBCS এবং WBPS থেকে উর্দু এবং সাঁওতালি ভাষা সংযোজিত করা হল।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত বেশকিছুদিন ধরেই পড়ুয়া মহলের একাংশ দাবি তুলেছিল, আঞ্চলিক ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হোক। আর এবার সেই দাবিকেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত দিল রাজ্য সরকার। গত বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হয় WBCS প্রিলিমস। যদিও সেই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে। যদিও তা পিছিয়ে হয়ে যায় জুন থেকে জুলাই মাস নাগাদ। এবং অবশেষে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষাটি।
গত বছরের পরীক্ষায়, রাজ্যের বহু পরীক্ষার্থীই অংশ নিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, রাজ্যের কোনও পরীক্ষার্থীই যাতে ভাষার জন্য আটকে না যায় সেই বিষয়টা নিশ্চিত করতেই উর্দু এবং সাঁওতালি ভাষাকেও যুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে হিন্দি ভাষারও সংযোজন করা হল বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ‘বিষ্ণু মাতা’ অতীত, এবার কর্ণাটককে কানাডা বানিয়ে দিলেন মমতা! ভুল বুঝে উইথড্র করলেন মন্তব্য
সেই সাথে স্কুল কলেজের পড়ুয়ারাও যাতে সিভিল সার্ভিসের প্রতি আগ্রহী হয় সেই বিষয়টাও নজরে রাখছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত IAS, IPS, WBCS অফিসারদের নিয়ে বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে যারা রাজ্যের বিভিন্ন কোনা থেকে মেধাবী পড়ুয়াদের চিহ্নিত করতে পারে।
আরও পড়ুন : দেশে রোহিঙ্গা ঢোকাতেন, তোলাবাজির টাকায় গড়ে উঠেছে বসতি! শাহজাহানের বিরুদ্ধে চরম চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ED
জেলায় জেলায় শুরু হচ্ছে কোচিং। এই বিশেষ টিমের তরফ থেকে দেওয়া হবে গাইডেন্স। এক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা। মূলত সিভিল সার্ভিসের দিকে বাংলার ছেলেমেয়েদের আগ্রহী করে তোলার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর আগেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হত বিসিএস-এ আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের।