বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা। জেলবন্দি রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক থেকে শুরু করে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ওদিকে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন আরাবুল ইসলাম, সন্দেশখালির শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা। এই আবহেই এবার কেষ্ট গড় বীরভূমে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? রবিবার সিউড়িতে সভা করেন মমতা। তথাকথিত সেই প্রশাসনিক সভা থেকেই প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি কি পারি না গদ্দারদের গ্রেফতার করতে? আমি একটু সময় দিচ্ছি। সুতো ছাড়ছি।”
জোর গলায় মমতা বলেন, “গদ্দারদের সব চুরি, দুর্নীতির মামলা…সবাইকে বলে চোর। ওরা চোরেদের ঠাকুরদা। মায়েরা বলেন, শূন্য কলসি বড্ড বাজে বেশি। ওরা হচ্ছে তাই। দিল্লির দয়ায় রাজনীতি করে। দিল্লি হ্যাঁ বললে ধিতাং ধিতাং নৃত্য, না বললে মন খারাপ। এরা বাংলাকে ভালবাসে না।”
এদিকে বীরভূম থেকে অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “এতদিন ধরে কেষ্টকে জেলে আটকে রেখেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মন থেকে ওকে দূরে সরাতে পারেনি। যদি কেষ্টর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে সেই একই অভিযোগ আপনাদের কতজন নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে? মমতার প্রশ্ন, “সেসব নিয়ে আজ পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আমি কি পারি না গদ্দারদের গ্রেফতার করতে? একটু সময় দিচ্ছি। সুতো ছাড়ছি’।
আরও পড়ুন: ‘ইয়ং জেনারেশন ওর কথা বলছে’, ‘জেলবন্দি করলেও কেষ্ট মনেই আছে’, বীরভূমে দাঁড়িয়ে অকপট মমতা
এদিন কারও নাম না নিলেও লোকসভা ভোটের আগে মমতা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ বর্তমান বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এর আগে একাধিক বার ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘গদ্দার’ বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল।