বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর! উচ্চমাধ্যমিকে অভাবনীয় সাফল্য প্রীতমের, হতে চান IAS

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে এমন বহু পরিবার রয়েছে যেখানে পড়াশোনা বিলাসিতার সমান। অর্থের অভাবে বহু ছেলে-মেয়ের স্বপ্ন থেকে যায় অপূর্ণ। স্কুলের গণ্ডিটুকু টপকাতে পারেন না অনেকে। তবে নিজের উপর বিশ্বাস ও লড়াই করার মানসিকতা থাকলে শত বাধাকেও জয় করা যায়। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary Examination) এমনটাই করে দেখালেন কালিয়াগঞ্জের প্রীতম্বর বর্মন।

সংসারের তীব্র দারিদ্রতার মধ্যেও উচ্চ মাধ্যমিকে গোটা রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (West Bengal Council of Higher Secondary Education) পক্ষ থেকে এদিন প্রকাশিত করা হয়েছে মেধা তালিকা। এই মেধা তালিকায় রয়েছে প্রথম দশজনের নাম। এবছর মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন মোট ৫৮ জন। 

আরোও পড়ুন : রাজ্যে বন্ধ হবে CBI তদন্ত? মমতা সরকারের করা মামলার শুনানি শেষ, কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

এদের মধ্যেই একজন হলেন তরঙ্গপুর এন কে হাইস্কুলের ছাত্র প্রীতম্বর বর্মন। প্রীতম্বরের ছোটবেলায় কেটেছে অত্যন্ত দারিদ্রতার সাথে। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। ভিন রাজ্যে থাকেন। বাইরে থেকে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে সামান্য কিছু টাকা পাঠান বাড়িতে। সেই টাকায় ঠিকমতো খাওয়াও জোটে না তাদের। বাধ্য হয়ে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে হয় মাকে। প্রীতম্বরের বাস কালিয়াগঞ্জ (Kaliagunj) ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেউর গ্রামে।

640 480 21421021 thumbnail 16x9 aaaa

ছোট্ট টালির একটি ঘর। ছেলের এই সাফল্য যেন আলোকময় করে তুলেছে এই ছোট্ট অন্ধকার ঘরটাকেও। কালিয়াগঞ্জের প্রীতম্বর বর্মন বলছেন, প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি এই রেজাল্ট। তাঁর কথায়, “আমার পরিশ্রম সার্থক হল। সারা বছর তেমনভাবে পড়াশোনা করিনি। পরীক্ষার আগে গোল্ডেন সময়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সেই সময় ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা পড়েছি।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর