বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জ্বলছে একের পর এক ট্রেন। টোল প্লাজায় আগুন। সাধারণ যাত্রীদের ভয়ে সন্ত্রস্ত। কিন্তু সাধারণ যাত্রীরা কি করেছে দোষ? তাদের মধ্যেও রয়েছে মা ভাই বোন। কিন্তু কোন রাগের আক্রোশ গিয়ে পড়ছে তাদের ওপর? তারা এখন হয়তো বুঝতে পারছে না তাদের এই প্রতিহিংসাপরায়ন সত্যিই কি সমাজের কোনো ভালো জায়গায় বার্তা দিচ্ছে? নাকি এই আক্রোশ মানুষকে বিষিয়ে তুলছে? প্রশ্ন অনেক। তবে বিল যেখান থেকে পাশ হয়েছিল লোকসভা ও রাজ্যসভায় সেখানে কেন তবে বিরোধীরা সেই জায়গায় আটকাতে সক্ষম হয়নি? তাহলে বাইরে কি বিরোধীরা প্রচার করতে ব্যর্থ হচ্ছে যে সেই বিল সত্যি কোন অশুভ সংকেত বয়ে আনছে না মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে। আর এর মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে চলছে একের পর এক আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে হামলা। আর তা দেখে থমকে যাচ্ছে বাংলার মানুষ। যেখানে ভেদাভেদহীন মানুষের বসবাস। হিন্দু-মুসলিম এক থালে বসে ভাত খায়। সেখানে এই ভিন্নতা দেখে চমকে উঠছেন অনেক তাবড় তাবড়।
কিন্তু এর পরিণাম কী হতে পারে তা এখনো আজকে কি পৌঁছায়নি উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর কাছে। তবে কেন এই আন্দোলনকে আরও বেশি করে প্রশমিত করার কাজ করছে না সরকার? সেদিকেই বিরোধীরা বারবার আঙুল তুলছে। এরমাঝেই রবিবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের অন্ডালে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর রাজ্য ছেড়ে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় যাওয়ার কথা রয়েছে মোদীর। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নেতাদের সঙ্গে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে পারেন নমো। দেশের উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঝটিকা বাংলা সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।