বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে চলছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি। এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞেস করে, ‘আমরা বুঝতে চাই DA কী মৌলিক অধিকার?’ এই নিয়ে সওয়াল-জবাব চলল দুই পক্ষের।
ডিএ মামলায় কী পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের? Dearness Allowance
সরকারি কর্মীদের আইনজীবীর সওয়াল, ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। রাজ্যের তরফে পাল্টা আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, মহার্ঘ ভাতা কোনওমূল্যেই মৌলিক অধিকার বলা যায় না। এদিন রাজ্যের আইনজীবী, শ্যাম দিওয়ান বলেন, ‘ডিএ কোনও আইনি অধিকার নয়। এটা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। রাজ্য সরকারই এই বিষয়ে সমস্তটা ঠিক করবে।’
আইনজীবীর কথায়, ‘রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি কী, রাজ্যে কোন কোন বিষয় প্রাধান্য পায়, সমস্ত কিছু বিবেচনা করে ডিএ-র হার নির্ধারণ করে রাজ্য সরকার।’ তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে হবে বলে দাবি করতে পারেন না রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। এটা কোনও আইনে বলা নেই। মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন হারে ডিএ দেয়।’
সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মৌলিক অধিকারের আইনি স্বীকৃতি নেই বলে আদালতে বলে রাজ্য। আদালতে রাজ্যের দাবি, ডিএ রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উপরে নির্ভরশীল। এই ইস্যুতে সিবালের সওয়াল, দেশে মোট ১৩টি রাজ্য আছে, যারা নিজেদের মতো করে কর্মীদের ডিএ প্রদান করে থাকে। কেউ তাদের বাধ্য করতে পারে না কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার জন্য। রাজ্যের সিদ্ধান্ত কর্মীদের মেনে নেওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন: DA মৌলিক অধিকারই নয়! সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিল রাজ্য, মিলবে বকেয়া?
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, বিচারপতি কারোল বলেন, ‘দু’ পক্ষই এই কথা মেনে নিচ্ছে যে, এটা ফান্ডামেন্টাল রাইট নয়। এখানে কোনও রুলকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়নি।’ শীর্ষ আদালত এরপর জানায়, ” এমন কিছু পাওয়া যাচ্ছে না, যার আওতায় মহার্ঘ ভাতাকে মৌলিক অধিকার বলা যেতে পারে।” ডিএ মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে।