বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এপ্রিল মাস থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে দু’দফার ভোটগ্রহণ। আগামী ৭ মে তৃতীয় দফার নির্বাচন রয়েছে রাজ্যে। তবে তার আগেই বিপাকে বাংলার সরকারি (Government of West Bengal) কর্মীরা! ভোটের মাঝেই চিন্তার ভাঁজ তাঁদের কপালে।
নির্বাচন এলেই সরকারি কর্মীদের (West Bengal Government Employees) দায়িত্ব অনেকখানি বেড়ে যায়। চলতি লোকসভা নির্বাচনেও এর অন্যথা হয়নি। নিজেদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন তাঁরা। তবে এর মাঝেই জানা গেল, নির্বাচনের (Election) দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নাকি ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ, ভোটের ডিউটি পালন করা সরকারি কর্মীদের মোবাইল নম্বর থেকে শুরু করে বাড়ির ঠিকানা হয়ে আধার কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর- সবকিছু ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ উদ্ধার হওয়া টাকা কার? আদালতে দাঁড়িয়ে যা বললেন পার্থ…, নিয়োগ দুর্নীতিতে শোরগোল
জানা যাচ্ছে, কোন পোলিং পার্টির সঙ্গে কোন সরকারি কর্মচারীকে ডিউটি করতে হবে, কোন ব্লকে কোন সরকারি কর্মচারীদের কাজ পড়বে, সেই সম্বন্ধিত সকল তথ্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। যে কারণে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাড়ির ঠিকানা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে দাঁড়াচ্ছে ভোটকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি।
তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার এই বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের দাবি, এই বিষয়ে আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তবে তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। এদিকে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীরা বলছেন, ভোটের ডিউটি সংক্রান্ত চিঠি খামবন্দি অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে আসছে। তাহলে সেই তথ্য কীভাবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে?
সরকারি কর্মীরা এই বিষয়ে বলছেন, এই বিষয়ে কমিশনকে অবগত করার পর তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমতাবস্থায় তাঁদের দাবি, আগে যেখানে ভোটের ডিউটিতে পাঠানোর কথা ছিল, সেটা বদল করতে হবে। যদি এমনটা না হয়, তাহলে কমিশনের অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।