আর সময় নয়! সোজা সুপ্রিম কোর্টে ছুটল মমতা সরকার, সঙ্গে মারাত্মক অভিযোগ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’দিন আগেই উপাচার্য নিয়োগের মামলায় রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের সুরাহা করতে সার্চ কমিটি গড়ে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। মনে করা হচ্ছিল এবার থেকে সব ঠিকথাক চলবে। তবে সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক ধাপ এগোল রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose) ও নবান্নের ‘ঝামেলা’। শুক্রবার বঙ্গ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)।

রাজ্যের (West Bengal Government) কি অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে?

অভিযোগ রাজ্যের উন্নতি কল্পে সরকার কর্তৃক প্রণয়ন করা আটটি বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল ওই বিলগুলি আটকে রেখে সংবিধানের ২০০ নম্বর বিধি ভঙ্গ করার পাশাপাশি রাজ্যে গণতন্ত্রে সুশাসন ও রাজ্যের জনকল্যাণেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন অভিযোগ তুলেছে রাজ্য।

   

এই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, মোট আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিল দিনের পর দিন আটকে রাখায় এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছে। আগেই এই নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছিল। রাজ্য (West Bengal Government) তরফে বিষয়টি দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই আর্জিতে সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি মঞ্জুর করেছেন।

সূত্রের খবর, যেসকল বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে তার মধ্যে ২০২২ সালে প্রণীত পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ পশু এবং মৎসবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, গত বছর প্রনীত পশ্চিমবঙ্গ নগর পরিকল্পনা এবং নগরোন্নয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ বিল রয়েছে।

cv bose mamata

আরও পড়ুন: ‘ন্যায্য প্রাপ্য, এরিয়ার ফিরিয়ে দিন..,’ শিক্ষকদের নিয়ে বিরাট রায় হাইকোর্টের, রাজ্যকে কড়া নির্দেশ

আটটি বিল মধ্যে ছ’টি আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছিল আগের বঙ্গ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখডড়ের সময়। দু’টি বিল পাশ করা হয় সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হয়ে আসার পর। তবে সেই আটটি বিলই এখনও রাজভবনে আটকে রয়েছে। এই নিয়েই সুরাহা চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। মামলা শুনবেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর