বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে অর্থ সমস্যার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার চালু করেছিল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পড়ুয়ারা অত্যন্ত কম সুদে ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। তবে প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।
অতীতে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে যে অধিকাংশ ব্যাংক স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দিতে নারাজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পৌঁছায় এই সংক্রান্ত অভিযোগ। অভিযোগ পাওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে সচেষ্ট হলেন। বাংলার সরকার পড়ুয়াদের ঋণের ব্যবস্থা করতে যে যথেষ্ট সচেষ্ট সেই বিষয়টি তিনি বুঝিয়ে দিলেন।
আরোও পড়ুন : ইলিশের দামে বড়সড় পতন! সস্তায় রূপোলি শস্য মিলতেই চওড়া হচ্ছে মধ্যবিত্তের হাসি
সূত্র বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে সরাসরি এই সংক্রান্ত অভিযোগ পৌঁছেছে। বহু মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক সেই কার্ডে ঋণ মঞ্জুর করছে না। হাজার রকম শর্ত আরোপ করা হচ্ছে ঋণের ক্ষেত্রে।
আরোও পড়ুন : এবার সামান্য কটা টাকাতেই মিলবে সিলিন্ডার! শুধু ‘এইভাবে’ করুন বুকিং, পাবেন প্রচুর ‘ডিসকাউন্ট’
এই সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর জেলাশাসকদের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, “আপনারা সরাসরি কথা বলুন ব্যাংকের সাথে। প্রয়োজনে ডেকে পাঠান তাদের। যত দ্রুত সম্ভব সবকটি মামলা নিষ্পত্তির চেষ্টা করুন।” রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী সম্প্রতি বৈঠক করেন জেলা শাসকদের সাথে। সেই বৈঠকে মুখ্য সচিবকে জেলা শাসকরা জানান, নথিপত্র নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করছে ব্যাংক।
ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাংক পড়ুয়াদের আর্থিক অবস্থা, পরিবারের আয়ের উৎস ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইছে। এছাড়াও জানা হচ্ছে অভিভাবকদের সিবিল স্কোর। এরপর নথিতে যদি কোনও রকম গন্ডগোল থাকে তাহলে ঋণ দিতে চাইছে না ব্যাংকগুলি। আবার কিছু ব্যাংক পড়ুয়াদের প্রয়োজনের থেকে অনেকটাই কম ঋণ মঞ্জুর করছে।