বাংলা হান্ট ডেস্ক : রবিবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়েই টেট (Primary TET) ঘিরে ব্যস্ততা। অন্যতম বিতর্কিত পরীক্ষার তারিখ আজ। এই নিয়ে বছরভর চলেছে বিবাদ বিতর্ক। অবশেষে বছর শেষে একবুক আশা নিয়ে পরীক্ষা দিতে পৌঁছেছে প্রায় ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন চাকরিপ্রার্থী। আর সেই টেট নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জানিয়ে দিলেন, এই চাকরি কেউই পাবেনা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তরজার মাঝেই আজ প্রাথমিক টেট। রাজ্যের ৭৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের কোনা কোনা থেকে চাকরিপ্রার্থীরা ছুটে গিয়েছেন পরীক্ষা দিতে। সবারই মনে আশা, এবার হয়ত ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে। সেই আশায় জল ঢাললেন শুভেন্দু অধিকারী। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিরোধী দলনেতা।
এইদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “টেটের প্রশ্ন ফোন করে করে বিক্রি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের আত্মীয়দের মোবাইল নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ টাকা নিয়ে করেছে। এটাতে কেউ চাকরি পাবে না। পরীক্ষার্থী পিছু এক হাজার টাকা নষ্ট করল। ৫০০ টাকা আগে নিয়েছে। আজকে যাতায়াত, টিফিন, জলের বোতলে আরও ৫০০ গেল। ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগ হয়নি। ২০২২ সালের টেটেরও নিয়োগ হয়নি। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে টাকা তোলা আর চাকরি দেওয়ার নামে ললিপপ ধরানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতীদের ন্যূনতম এক হাজার টাকা নষ্ট করল সরকার।”
আরও পড়ুন : বিষ প্রয়োগের পর ফের বড় ঝটকা, এবার দাউদের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন নিল ভারত! ঘুম উড়ল ডনের
যদিও আয়োজকদের দাবি, পরীক্ষার জন্য যা যা নিরাপত্তা নেওয়া দরকার তার সবটাই নেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সমস্ত জেলার জন্য তৈরি হয়েছে ডেস্ক। সেই ডেস্ক থেকেই চলছে নজরদারি। সিসিটিভি রয়েছে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। সূত্রের খবর, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করার আগে জমা করতে হচ্ছে মোবাইল ফোন। এমনকি জলের বোতল ও ঘড়িতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আয়োজকরা।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের বাদের খাতায় ৯০ বিধায়ক! অভিষেক মডেল লাগু হলেই বাদ মদন, ফিরহাদরা
সেই সাথে পরীক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক AI প্রযুক্তি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে খবর, OMR শিট নিয়ে যাতে কোনও দুর্নীতি না হতে পারে তার জন্য সেখানেও নেওয়া হয়েছে কড়া পাহারার ব্যবস্থা। পর্ষদের দাবি, মোট তিনটি ধাপে নজরদারি চলছে। তাই দুর্নীতির কোনও জায়গা নেই। যদিও টেট নিয়ে মানুষের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে শুভেন্দুর দাবিও অগ্রাহ্য করতে পারছেনা সাধারণ মানুষ।